০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়ম-নীতির অমান্য করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে বিতর্কিত পদোন্নতি

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এক বিতর্কিত পদোন্নতি। প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোনো ধরনের লিখিত বা বিভাগীয় পরীক্ষা ছাড়াই সাব-ইন্সপেক্টর আবু সুফিয়ানকে চিফ ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আরএনবিতে চিফ ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আবু সুফিয়ান পদোন্নতি পান। অভিযোগ রয়েছে, দপ্তরের লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই তিনি চিফ ইন্সপেক্টরের ব্যাজ ব্যবহার করছেন, যা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর নীতিমালার পরিপন্থী।

সূত্র আরও বলছে, সিজিপিওয়াই এলাকার বিভিন্ন স্থানে আবু সুফিয়ানের নির্দেশে কথিত ক্যাশিয়ার দুলালের মাধ্যমে দখলবাণিজ্য, তেল চুরি, ট্রাকস্ট্যান্ড বাণিজ্য ও সরকারি জমি দখল করে চাষাবাদ চালানোসহ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম থেকে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ নাকি ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তার কাছেও পৌঁছে যায়—এমন অভিযোগও রয়েছে।

বিতর্কিত পদোন্নতি বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন,
“না জেনে কল দিয়েছেন নাকি? আমি কিছু বলতে পারব না। জানতে চাইলে উপরমহলে যোগাযোগ করুন।”

চিফ কম্যান্ড্যান্ট (আরএনবি পূর্বাঞ্চল) মো. আশাবুল ইসলাম বলেন,
“লোকবল সংকটের কারণে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
ব্যাজ পরিধানের বিষয়ে তিনি বলেন, মৌখিক দায়িত্ব দেওয়া হলে ব্যাজ ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, দপ্তরাদেশ ছাড়া কোনো কর্মকর্তা উচ্চপদস্থ ব্যাজ ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে পুরো ঘটনাটিকে নিয়মবহির্ভূত বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় রেলওয়ের ভেতরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সাধারণ যাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং সচেতন মহল মনে করছেন—সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে এ ধরনের অনিয়ম প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য হুমকি। তারা দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

নিয়ম-নীতির অমান্য করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে বিতর্কিত পদোন্নতি

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এক বিতর্কিত পদোন্নতি। প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোনো ধরনের লিখিত বা বিভাগীয় পরীক্ষা ছাড়াই সাব-ইন্সপেক্টর আবু সুফিয়ানকে চিফ ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আরএনবিতে চিফ ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আবু সুফিয়ান পদোন্নতি পান। অভিযোগ রয়েছে, দপ্তরের লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই তিনি চিফ ইন্সপেক্টরের ব্যাজ ব্যবহার করছেন, যা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর নীতিমালার পরিপন্থী।

সূত্র আরও বলছে, সিজিপিওয়াই এলাকার বিভিন্ন স্থানে আবু সুফিয়ানের নির্দেশে কথিত ক্যাশিয়ার দুলালের মাধ্যমে দখলবাণিজ্য, তেল চুরি, ট্রাকস্ট্যান্ড বাণিজ্য ও সরকারি জমি দখল করে চাষাবাদ চালানোসহ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম থেকে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ নাকি ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তার কাছেও পৌঁছে যায়—এমন অভিযোগও রয়েছে।

বিতর্কিত পদোন্নতি বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন,
“না জেনে কল দিয়েছেন নাকি? আমি কিছু বলতে পারব না। জানতে চাইলে উপরমহলে যোগাযোগ করুন।”

চিফ কম্যান্ড্যান্ট (আরএনবি পূর্বাঞ্চল) মো. আশাবুল ইসলাম বলেন,
“লোকবল সংকটের কারণে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
ব্যাজ পরিধানের বিষয়ে তিনি বলেন, মৌখিক দায়িত্ব দেওয়া হলে ব্যাজ ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, দপ্তরাদেশ ছাড়া কোনো কর্মকর্তা উচ্চপদস্থ ব্যাজ ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে পুরো ঘটনাটিকে নিয়মবহির্ভূত বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় রেলওয়ের ভেতরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সাধারণ যাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং সচেতন মহল মনে করছেন—সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে এ ধরনের অনিয়ম প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য হুমকি। তারা দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।