০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফটিকছড়িতে দুর্বৃত্তদের আগুনে নিঃস্ব কৃষক

ফটিকছড়ি পৌরসভার বাঘমারা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মধ্যরাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তদের আগুনে কৃষক সেলিমের তিনটি কাটা ধানের স্তূপ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়া আগুনে তার ছয় মাসের শ্রম ধ্বংস হয়।

কৃষক সেলিম বলেন, “আমি প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ৩০০ আড়ি ধান চাষ করেছি। দুর্বৃত্তরা সব ছাই করে দিয়েছে। এটা আমার একমাত্র সম্বল। আমি নিঃস্ব। যারা দায়ী তাদের শাস্তি চাই।”

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাটিকে ‘অমানবিক’ এবং ‘অসভ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু কারও ফসল পুড়িয়ে দেওয়া মানুষিক দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রহণযোগ্য।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ছালেক বলেন, এটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক ঘটনা। কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

ফটিকছড়ি থানার ওসি নূর আহমদ জানান, তদন্ত চলছে এবং যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে হারুয়ালছড়ি ও দৌলতপুরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় ফটিকছড়ির কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ফটিকছড়িতে দুর্বৃত্তদের আগুনে নিঃস্ব কৃষক

আপডেট সময় : ০৭:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ফটিকছড়ি পৌরসভার বাঘমারা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মধ্যরাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তদের আগুনে কৃষক সেলিমের তিনটি কাটা ধানের স্তূপ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়া আগুনে তার ছয় মাসের শ্রম ধ্বংস হয়।

কৃষক সেলিম বলেন, “আমি প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ৩০০ আড়ি ধান চাষ করেছি। দুর্বৃত্তরা সব ছাই করে দিয়েছে। এটা আমার একমাত্র সম্বল। আমি নিঃস্ব। যারা দায়ী তাদের শাস্তি চাই।”

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাটিকে ‘অমানবিক’ এবং ‘অসভ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু কারও ফসল পুড়িয়ে দেওয়া মানুষিক দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রহণযোগ্য।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ছালেক বলেন, এটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক ঘটনা। কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

ফটিকছড়ি থানার ওসি নূর আহমদ জানান, তদন্ত চলছে এবং যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে হারুয়ালছড়ি ও দৌলতপুরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় ফটিকছড়ির কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।