০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গোপালগঞ্জ-২ আসন

মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিএনপির ৫ নেতার গণসংযোগ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ (গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী আংশিক) আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীর মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে এবং তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারে গণসংযোগ করেছেন জেলা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫ নেতা। তাদের নেতৃত্বে সাবেক ও বর্তমান শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ সড়ক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া গণসংযোগে নেতৃত্ব দেন—গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ-ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সংসদ সদস্য এম এইচ খান মঞ্জু, সাবেক সভাপতি এম সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ এবং বিএনপি নেতা সরদার নুরুজ্জামান।

গণসংযোগে জেলা, উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। তারা দলের প্রতীক ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

নেতৃবৃন্দ জানান, মনোনীত প্রার্থী তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা মনে করেন, বিজয়ের সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে আরও জনপ্রিয় ও পরীক্ষিত নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া জরুরি।

সাবেক সংসদ সদস্য এম এইচ খান মঞ্জু বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে আসছি। হামলা-মামলার শিকার হয়েও আমাদের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। দলের কাছে আমাদের আবেদন—তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা হোক। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে থাকায় মনোনয়নে ভুল হয়েছে; আশা করি নেতাকর্মীদের দাবি বিবেচনা করে পুনর্বিবেচনা করা হবে।

গণসংযোগকালে নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের কাছে যান এবং বিএনপি’র নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন। ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

নেতাকর্মীরা জানান, এ কর্মসূচি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছে দেবে এবং আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাবেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

রেলের নারী কর্মীকে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক, পরে চাকরি থেকে অপসারণ ও হুমকির অভিযোগ

গোপালগঞ্জ-২ আসন

মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিএনপির ৫ নেতার গণসংযোগ

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ (গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী আংশিক) আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীর মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে এবং তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারে গণসংযোগ করেছেন জেলা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫ নেতা। তাদের নেতৃত্বে সাবেক ও বর্তমান শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ সড়ক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া গণসংযোগে নেতৃত্ব দেন—গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ-ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সংসদ সদস্য এম এইচ খান মঞ্জু, সাবেক সভাপতি এম সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ এবং বিএনপি নেতা সরদার নুরুজ্জামান।

গণসংযোগে জেলা, উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। তারা দলের প্রতীক ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

নেতৃবৃন্দ জানান, মনোনীত প্রার্থী তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা মনে করেন, বিজয়ের সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে আরও জনপ্রিয় ও পরীক্ষিত নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া জরুরি।

সাবেক সংসদ সদস্য এম এইচ খান মঞ্জু বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে আসছি। হামলা-মামলার শিকার হয়েও আমাদের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। দলের কাছে আমাদের আবেদন—তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা হোক। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে থাকায় মনোনয়নে ভুল হয়েছে; আশা করি নেতাকর্মীদের দাবি বিবেচনা করে পুনর্বিবেচনা করা হবে।

গণসংযোগকালে নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের কাছে যান এবং বিএনপি’র নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন। ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

নেতাকর্মীরা জানান, এ কর্মসূচি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছে দেবে এবং আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাবেন।

এমআর/সবা