০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে ৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর পুনরায় চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৬টা থেকে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। এতে আটকে পড়েন কয়েকশ যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোর ৫টার পর থেকে নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৬টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে কুয়াশা কমে এলে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

 

সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, শতাধিক ঢাকামুখী যানবাহন নদী পারাপারের অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শীত ও কুয়াশার কারণে যাত্রীরা গাড়ির ভেতরে বসে কিংবা চায়ের দোকানে সময় কাটান। অনেককে হেঁটে ফেরিঘাটের দিকে যেতে দেখা যায়।

ঢাকাগামী যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, তাঁর গাড়ি ফেরিঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আটকে রয়েছে। জরুরি কাজে ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন।

এদিকে কুয়াশার কারণে সকাল ৮টার দিকেও ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানে চলাচলকারী মানুষদেরও ধীরগতিতে চলতে হয়।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া জানান, কুয়াশার কারণে ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছিল। সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ কমে যাবে এবং সিরিয়াল জট থাকবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

আপডেট সময় : ০৫:০১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে ৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর পুনরায় চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৬টা থেকে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। এতে আটকে পড়েন কয়েকশ যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোর ৫টার পর থেকে নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৬টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে কুয়াশা কমে এলে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

 

সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, শতাধিক ঢাকামুখী যানবাহন নদী পারাপারের অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শীত ও কুয়াশার কারণে যাত্রীরা গাড়ির ভেতরে বসে কিংবা চায়ের দোকানে সময় কাটান। অনেককে হেঁটে ফেরিঘাটের দিকে যেতে দেখা যায়।

ঢাকাগামী যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, তাঁর গাড়ি ফেরিঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আটকে রয়েছে। জরুরি কাজে ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন।

এদিকে কুয়াশার কারণে সকাল ৮টার দিকেও ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানে চলাচলকারী মানুষদেরও ধীরগতিতে চলতে হয়।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া জানান, কুয়াশার কারণে ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছিল। সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ কমে যাবে এবং সিরিয়াল জট থাকবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।