০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেলের নারী কর্মীকে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক, পরে চাকরি থেকে অপসারণ ও হুমকির অভিযোগ

বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগে এক নারী কর্মীকে দীর্ঘদিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং পরবর্তীতে বিয়ে না করার পাশাপাশি মারধর, হুমকি ও চাকরি থেকে অপসারণের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তার জানিয়েছেন, তিনি ২০২১ সাল থেকে সিএসটিই/পূর্ব দপ্তরে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই দপ্তরের অফিস সহকারী আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে এবং চাপ দিলে তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের হুমকি দেওয়া হয়।

সাজেদা অভিযোগ করেন, ২০২৫ সালের ৪ নভেম্বর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে সিএসটিই অতিরিক্ত দপ্তরে ডেকে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে মারধর করা হয়। এতে তার মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত হয়। পরে মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দেন, চাকরি থেকে অব্যাহতির হুমকি দেন এবং সমঝোতার জন্য টাকা প্রস্তাব করেন।

ভুক্তভোগী নারী রাজি না হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম জংশন কেবিনে খালাসী পদে বদলি করা হয়। সাজেদা আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০৬, চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেছেন যা পিবিআই কর্তৃক তদন্তাধীন। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং চাকরি হারালে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।

সাজেদা বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব), চট্টগ্রামের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তির দাবি করেছেন। অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন জবাব দেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রজ্ঞাপন জারি: নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

রেলের নারী কর্মীকে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক, পরে চাকরি থেকে অপসারণ ও হুমকির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগে এক নারী কর্মীকে দীর্ঘদিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং পরবর্তীতে বিয়ে না করার পাশাপাশি মারধর, হুমকি ও চাকরি থেকে অপসারণের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তার জানিয়েছেন, তিনি ২০২১ সাল থেকে সিএসটিই/পূর্ব দপ্তরে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই দপ্তরের অফিস সহকারী আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে এবং চাপ দিলে তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের হুমকি দেওয়া হয়।

সাজেদা অভিযোগ করেন, ২০২৫ সালের ৪ নভেম্বর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে সিএসটিই অতিরিক্ত দপ্তরে ডেকে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে মারধর করা হয়। এতে তার মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত হয়। পরে মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দেন, চাকরি থেকে অব্যাহতির হুমকি দেন এবং সমঝোতার জন্য টাকা প্রস্তাব করেন।

ভুক্তভোগী নারী রাজি না হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম জংশন কেবিনে খালাসী পদে বদলি করা হয়। সাজেদা আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০৬, চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেছেন যা পিবিআই কর্তৃক তদন্তাধীন। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং চাকরি হারালে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।

সাজেদা বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব), চট্টগ্রামের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তির দাবি করেছেন। অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন জবাব দেননি।