৪ ডিসেম্বর দিনাজপুরে শুরু হচ্ছে কান্তজিউ রাস-উসৎব। এতে থাকছে আনন্দঘন লোকোৎসব, যেখানে পালাটিয়া, কবিগান, পুঁথিপাঠ, মুখোশ নৃত্য, আদিবাসী সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী, পুতুলনাচ এবং পিঠা-পুলি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।
উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে ৪ ডিসেম্বর, দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে কান্তজিউ রাস-উসৎব প্রাঙ্গণ, কাহারোল, দিনাজপুর।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কমিউনিটি নেতা জানিয়েছেন, “এই লোকোৎসবের লক্ষ্য হলো স্থানীয় জনজীবনের ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। পাশাপাশি পিঠা-পুলি ও নানাবিধ হস্তশিল্পের প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিক্রির সুযোগও সৃষ্টি হবে।”
উৎসবের প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পালাটিয়া ও কবিগান, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনের গল্প ও কাব্যিক ঐতিহ্য তুলে ধরে। এছাড়া পুঁথিপাঠ অংশগ্রহণকারীদের জন্য শিক্ষামূলক ও বিনোদনময় এক অভিজ্ঞতা হবে। মুখোশ নৃত্য ও পুতুলনাচ শিশু ও বড় সকলের মনোরঞ্জনের জন্য সাজানো হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথোপকথনে জানা গেছে, উৎসবটি কেবল সাংস্কৃতিক বিনোদন নয়, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়ের ঐক্য, ইতিহাস এবং সৃজনশীলতাকে উদযাপন করার এক অনন্য মঞ্চ। পিঠা-পুলি ও অন্যান্য স্থানীয় খাবার পরিবেশিত হবে যাতে দর্শকরা স্বরূপ ও স্বাদের আনন্দ একসাথে উপভোগ করতে পারেন।
প্রস্তুতি কমিটি জানিয়েছে, উৎসবের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দর্শকরা নিরাপদে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে সব কার্যক্রম উপভোগ করতে পারবেন।
উৎসবপ্রেমীদের জন্য এটি এক সোনালী সুযোগ—দিনাজপুরের ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও গ্রামীণ আনন্দের সাথে পরিচিত হওয়ার।
এমআর/সবা






















