নওগাঁয় প্রশাসনের কোনো অনুমোদন ছাড়াই হাট-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ দখল করে শীতবস্ত্র ও শিল্পপণ্য মেলা শুরু হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আবাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও স্কুল মাঠজুড়ে এই মেলা বসানো হয়। এতে বার্ষিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্কুল মাঠ ঘিরে টিন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি
দুই সপ্তাহ ধরে মাঠ ঘিরে টিনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিকল্প গেট দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে—শব্দ, ভিড় ও ঝামেলার কারণে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটছে।
মেলার নামে বিতর্ক—পুলিশের নাম ব্যবহার!
মেলা পরিচালনায় জেলা পুলিশের নাম ব্যবহার করা হলেও পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি জানে না। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
৫০ স্টল, নাগরদোলা—মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে মেলা
রাজশাহী শিল্ক অ্যান্ড বেনারসি জামদানি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে। পোশাক, খাবার, খেলনা মিলিয়ে ৫০টি স্টল এবং নাগরদোলা, নৌকা, ড্রাগন রাইড রাখা হয়েছে। প্রবেশমূল্য ২০ টাকা।

স্থানীয়দের ক্ষোভ: ‘পরীক্ষার আগে মেলা কেন?’
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন—মেলা শুরুতে পরীক্ষার বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে শব্দদূষণ ও ভিড় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় প্রভাব ফেলছে।
প্রধান শিক্ষকের ব্যাখ্যা
হাট-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম. নাজমুল হাসান জানান, “এলাকার এলিট পারসনদের অনুরোধে” মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। তবে কোনো ভাড়া নেওয়া হয়নি।
প্রশাসনের মতে ‘প্রধান শিক্ষক অনুমতি দিতে পারেন না
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জান্নাত আরা তিথি জানিয়েছেন—মেলায় তাঁর কোনো অনুমোদন নেই, প্রধান শিক্ষক তাঁকে অবগতও করেননি। জেলা প্রশাসন বা চেম্বারের পক্ষ থেকেও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পুলিশ বলছে—‘আমরা জড়িত নই’ জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন—মেলার সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, ব্যানার থেকে পুলিশের নাম সরাতে বলা হয়েছে।
ডিসির মন্তব্য
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন—মেলার আবেদন এসেছে, অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।
এমআর/সবা
























