উত্তরাঞ্চলে আমন ধান কাটার মৌসুমে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান পরিশ্রমে মাঠে কাজ করছেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও কৃষিতে নারীদের শ্রমের মূল্যায়ন হয়নি—মজুরি বৈষম্য রয়ে গেছে আগের মতোই।
রংপুরসহ আট জেলায় নারী শ্রমিকরা দিন হাজিরায় মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পাচ্ছেন। একই কাজ করে পুরুষ শ্রমিক পান ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অর্থাৎ নারীরা পাচ্ছেন পুরুষ শ্রমিকের প্রায় অর্ধেক মজুরি।
অধিকাংশ পুরুষ শ্রমিক জীবিকার তাগিদে বাড়ির বাইরে—ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। ফলে স্থানীয় কৃষি শ্রমবাজারে নারীর সংখ্যা বাড়ছে। রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে নারীরা এখন বীজতলা, নিড়ানি, আগাছা পরিষ্কার, ক্ষেত পরিচর্যা, ধান কাটা-মাড়াইসহ সব কাজেই মূখ্য ভূমিকা রাখছেন।
নদীভাঙনে নিঃস্ব হওয়া রংপুর অঞ্চলের প্রায় ৫৫ হাজার চরাঞ্চল পরিবারের নারীরা শ্রমবিক্রির ওপর নির্ভরশীল। একই চিত্র গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেও দেখা যায়।
রংপুর সিটির নারী শ্রমিক বালা রাণী বলেন, “হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও পুরুষের সমান মজুরি পাই না। অনেক সময় পুরুষের চেয়েও বেশি কাজ করতে হয়।”
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, রংপুর অঞ্চলে মোট কৃষি শ্রমিকের প্রায় ২০ শতাংশই এখন নারী। তবে বাস্তবে সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
























