১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুর মহান বিজয় দিবস পালিত

জাতির অহংকার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা, গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রংপুরে পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের শুরুতে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়।

উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মো. এনামুল আহসান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভা। দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানও অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চিরস্মরণীয়। রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অহংকার এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃতি রোধ করে সত্য ও সঠিক তথ্য  জানাতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

 

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিজয় দিবস শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধের শিক্ষা দেয়। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষার গুরুত্ব উল্লেখ করেন। জেলা প্রশাসক এনামুল আহসান বলেন, একাত্তরের চেতনা ও চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজয় দিবসের বিশেষ আকর্ষণ ছিল রংপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানজুড়ে বিজয়ের গান, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার রঙে ছেয়ে যায় স্টেডিয়াম। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে বিজয় দিবসের উৎসবমুখর পরিবেশ প্রাণবন্ত হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুরবাসী নতুন করে শপথ নেন—মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

রংপুর মহান বিজয় দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতির অহংকার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা, গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রংপুরে পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের শুরুতে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়।

উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মো. এনামুল আহসান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভা। দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানও অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চিরস্মরণীয়। রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অহংকার এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃতি রোধ করে সত্য ও সঠিক তথ্য  জানাতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

 

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিজয় দিবস শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধের শিক্ষা দেয়। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষার গুরুত্ব উল্লেখ করেন। জেলা প্রশাসক এনামুল আহসান বলেন, একাত্তরের চেতনা ও চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজয় দিবসের বিশেষ আকর্ষণ ছিল রংপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানজুড়ে বিজয়ের গান, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার রঙে ছেয়ে যায় স্টেডিয়াম। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে বিজয় দিবসের উৎসবমুখর পরিবেশ প্রাণবন্ত হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুরবাসী নতুন করে শপথ নেন—মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার।