০৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিকেলে চান্স পেলো সুবর্ণচরের শাফিন

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কেরামতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ইয়াসির রাহাত শাফিন ২০২৫ সালের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তার মেরিট লিস্ট নম্বর ৫১০৭।

শাফিনের পিতা মোঃ নাছির উদ্দীন এবং মাতা হাসিনা আক্তার, বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শাফিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আর্মি (অবঃ) মোঃ জসিম উদ্দিনের দৌহিত্র। শাফিন নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে এসএসসি-তে গোল্ডেন এ প্লাস এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি-তেও গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন করেছেন।

শাফিনের মামা সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোঃ সাইফ উদ্দিন সজল বলেন, “আমাদের পরিবারে দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শাফিনের মা সকলের বড়। আমাদের পরিবারের বড়ো বোনের বড় সন্তান হিসেবে শাফিনের মেডিক্যালে চান্স পাওয়া আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।”

তিনি দেশবাসীর কাছে শাফিনের জন্য দোয়া চেয়েছেন এবং বলেন, “শাফিন যেন একজন যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে পারে।”
তার এ অসাধারণ সাফল্যে গ্রামের বাড়িতে আনন্দের জোয়ার বইছে। শাফিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেছেন, তার সাফল্যের পেছনে পরিবার, শিক্ষক এবং বন্ধু-বান্ধবের অবদান অনস্বীকার্য।

শাফিনের লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; তিনি তার এলাকার মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে এবং দেশের চিকিৎসা খাতকে এগিয়ে নিতে চাইছেন। তার এই অর্জন স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মেডিকেলে চান্স পেলো সুবর্ণচরের শাফিন

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কেরামতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ইয়াসির রাহাত শাফিন ২০২৫ সালের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তার মেরিট লিস্ট নম্বর ৫১০৭।

শাফিনের পিতা মোঃ নাছির উদ্দীন এবং মাতা হাসিনা আক্তার, বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শাফিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আর্মি (অবঃ) মোঃ জসিম উদ্দিনের দৌহিত্র। শাফিন নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে এসএসসি-তে গোল্ডেন এ প্লাস এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি-তেও গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন করেছেন।

শাফিনের মামা সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোঃ সাইফ উদ্দিন সজল বলেন, “আমাদের পরিবারে দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শাফিনের মা সকলের বড়। আমাদের পরিবারের বড়ো বোনের বড় সন্তান হিসেবে শাফিনের মেডিক্যালে চান্স পাওয়া আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।”

তিনি দেশবাসীর কাছে শাফিনের জন্য দোয়া চেয়েছেন এবং বলেন, “শাফিন যেন একজন যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে পারে।”
তার এ অসাধারণ সাফল্যে গ্রামের বাড়িতে আনন্দের জোয়ার বইছে। শাফিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেছেন, তার সাফল্যের পেছনে পরিবার, শিক্ষক এবং বন্ধু-বান্ধবের অবদান অনস্বীকার্য।

শাফিনের লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; তিনি তার এলাকার মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে এবং দেশের চিকিৎসা খাতকে এগিয়ে নিতে চাইছেন। তার এই অর্জন স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এমআর/সবা