০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা ও শীতে দুর্ভোগ চরমে

লালমনিরহাটে বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরের জেলাটি। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

গত সোমবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলেও বুধবার রাত থেকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারপাশ। এ সময় সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। দিনমজুরদের সকাল শুরু হচ্ছে অনিশ্চয়তায়। কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে অনেকেই কাজে বের হয়েও কাজ পাচ্ছেন না। ফলে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়, বিডিআর গেট ও নয়ারহাট এলাকায় সকাল থেকে কাজের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাইরে বের হচ্ছেন না। যাত্রী কম থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরাও রিকশা স্ট্যান্ড থেকে ঘুরে বাড়ি ফিরছেন।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীত থেকে বাঁচতে ছিন্নমূল মানুষকে খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশির প্রকোপও বাড়ছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, গত সোমবার থেকে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বুধবার রাত থেকে জেঁকে বসেছে শীত। আগামী কয়েকদিন শীত ও কুয়াশার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

পানছড়িতে ৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরুসহ চোরাচালানি আটক

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা ও শীতে দুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটে বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরের জেলাটি। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

গত সোমবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলেও বুধবার রাত থেকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারপাশ। এ সময় সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। দিনমজুরদের সকাল শুরু হচ্ছে অনিশ্চয়তায়। কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে অনেকেই কাজে বের হয়েও কাজ পাচ্ছেন না। ফলে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়, বিডিআর গেট ও নয়ারহাট এলাকায় সকাল থেকে কাজের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাইরে বের হচ্ছেন না। যাত্রী কম থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরাও রিকশা স্ট্যান্ড থেকে ঘুরে বাড়ি ফিরছেন।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীত থেকে বাঁচতে ছিন্নমূল মানুষকে খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশির প্রকোপও বাড়ছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, গত সোমবার থেকে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বুধবার রাত থেকে জেঁকে বসেছে শীত। আগামী কয়েকদিন শীত ও কুয়াশার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এমআর/সবা