- সপরিবারে বিএনপি প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে বেনজীরের ফ্ল্যাটের মালামাল
- থার্ড টার্মিনালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা কারাগারে
- সাজা থেকে খালাস চাইলেন সাবেক আইজিপি মামুন
‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে চলে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে জটিলতা তৈরি হতে পারে। সুতরাং জনস্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন’
– মো. আক্তার হোসেন, মহাপরিচালক, দুদক
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ বৈধ করার চেষ্টা এবং বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে চাঁদপুর-২ (মতলব) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ফ্ল্যাটে থাকা নিলামযোগ্য মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে মালামালগুলো ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হয়। হযরত শাহজালাল (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করার মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এডিসি’র দেশি-বিদেশি দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরা হলেন- কোরিয়ান নাগরিক হিসক কিম এবং বাংলাদেশি নাগরিক মো. সায়েম চৌধুরী। এদিকে জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পাঁচ বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল আবেদন করা হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেছেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে চলে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে জটিলতা তৈরি হতে পারে। সুতরাং জনস্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার দুদক ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আদালতের নথি পর্যালেচনায় দেখা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ বৈধ করার চেষ্টা এবং বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে চাঁদপুর-২ (মতলব) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের পক্ষে উপস্থিত পাবলিক প্রসিকিউটরের বক্তব্য এবং দাখিল করা নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আদালতের আদেশে বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন-প্রশাসন), স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ, মালিবাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, আদেশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশের অনুলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব, পরিচালক (পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন), সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে দাখিল করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এস এম মামুনুর রশীদ উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ উপার্জন করে তা নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। আবেদনে আরও বলা হয়, গোপন সূত্রে জানা গেছে- অভিযুক্তরা দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, ড. জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সপরিবারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন। তিনি বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে চলে গেলে চলমান অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে জটিলতা তৈরি হতে পারে। সুতরাং জনস্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন হওয়ায় আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, ড. জালাল উদ্দিন ছাড়াও মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- তার পরিবারের সদস্য শাহানাজ পারভিন, সাঈদ মোহাম্মদ রিজভী, সাঈদ মোহাম্মদ আলভী এবং আয়েশা তাসিনীমা তানিভী।
এ ছাড়া, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ফ্ল্যাটে থাকা নিলামযোগ্য মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে মালামালগুলো ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পরিচালক ও রিসিভার মো. মঞ্জুর মোর্শেদ এ সংক্রান্ত একটি অনুমতি আবেদন (চবৎসরংংরড়হ চবঃরঃরড়হ ঘড়. ২৬৯/২০২৪) দাখিল করেন। আবেদনে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মিজী এবং দুই কন্যা ফারহান বিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের মালিকানাধীন গুলশান-১ এর ‘র্যাংকন আইকন টাওয়ার’এর চারটি ফ্ল্যাটে সংরক্ষিত ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, রান্নাঘরের তৈজসপত্র ও অন্যান্য মালামাল নিলামের পরিবর্তে ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। শুনানিতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত পাবলিক প্রসিকিউটর আদালতকে জানান, এর আগে আদালতের নির্দেশে একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মালামাল নিলামের জন্য একটি প্রকাশ্য নিলাম কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিশনের ২৫/২০২৫ নম্বর সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জনবহুল আবাসিক এলাকায় নিলাম আয়োজন নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিপূর্ণ। বিপুল পরিমাণ নতুন ও পুরোনো মালামাল তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে কিছু জিনিস নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং জনস্বার্থ বিবেচনায় নিলামের পরিবর্তে এসব মালামাল ত্রাণ তহবিলে দেওয়া যুক্তিসংগত। এ অবস্থায় নিলামযোগ্য মালামালের আলামত নমুনা সংরক্ষণ করে বাকি মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। দুদকের যুক্তি ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে নিয়োগকৃত রিসিভারকে নির্ধারিত মালামাল ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশের অনুলিপি দুদকের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন), দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক, সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হযরত শাহজালাল (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করার মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এডিসি’র দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত শুনানি শেষে এক কোরিয়ান নাগরিক ও এক বাংলাদেশি কর্মকর্তার জামিন বাতিলের এই আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো দুই কর্মকর্তা হলেন- কোরিয়ান নাগরিক হিসক কিম এবং বাংলাদেশি নাগরিক মো. সায়েম চৌধুরী। এছাড়া এই মামলায় পলাতক থাকা আরও তিন কোরিয়ান নাগরিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তারা হলেন- কিউংজু কাং, ইর্য়কওয়ান চোই ও জুয়োক ইয়াং।
মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠান ‘প্লিয়াডিস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জুবায়ের আখতার চৌধুরী আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় মাল্টি-লেভেল কার পার্কিং (এমএলসিপি), এক্সপোর্ট ও ইম্পোর্ট কার্গো টার্মিনালসহ আইপিপি, আইপিআর, জেনারেটর হাউস, এসটিপি, ডব্লিউএসএস, পিডব্লিউটিপি, এজিএস, আরএফএফএস সাবস্টেশনসহ মূল ভবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে প্লিয়াডিস কনস্ট্রাকশন।
মামলার বাদী জুবায়ের আখতারের অভিযোগ, চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত কাজ করানো হলেও মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এডিসি দীর্ঘ সময় ধরে সেই পাওনা বাবদ প্রায় ৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেনি। বকেয়া পরিশোধের জন্য বারবার তাগাদা দিলেও অর্থ না পাওয়ায় এবং প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত আদালতের শরণাপন্ন হন। গতকাল সোমবার আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের স্থায়ী জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পাঁচ বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে দৈনিক সবুজ বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মধুমালতী চৌধুরী বড়ুয়া।
প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত এ মামলায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী বনে যাওয়া কারাগারে থাকা সাবেক আইজিপিকে গত ১৭ নভেম্বর ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ওইদিন বহুল আলোচিত এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একপর্যায়ে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হন সাবেক আইজিপি মামুন।
এ মামলার যে অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে, তাতে তাদের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। এবার সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করলেন সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।























