রংপুর বিভাগে গত সাড়ে ১১ মাসে মাদকবিরোধী অভিযানে ৩ হাজার ২৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৩ হাজার ১৫২ জন মাদকসংশ্লিষ্ট আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভাগটির আট জেলায় মোট ৯ হাজার ৯১০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলায় ধারাবাহিক এসব অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ কেজি গাঁজা, সাড়ে চার হাজার বোতল ফেন্সিডিল, ৫০০ গ্রাম হেরোইন এবং সাড়ে ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।

অভিযানে মাদকদ্রব্যের পাশাপাশি মাদক বেচাকেনায় ব্যবহৃত যানবাহন ও অর্থও জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৮ লাখ টাকা নগদ অর্থ। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে ১৮টি মোটরসাইকেল, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১০টি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এবং ৬৪টি মোবাইল ফোন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এসব যানবাহন ও যোগাযোগ সরঞ্জাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক পরিবহন ও কারবারিদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছিল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদ হোসেন বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় রংপুর বিভাগ মাদক কারবারিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ কারণে বিভাগজুড়ে প্রতিদিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদক সেবনকারী, কারবারি, পরিবহনকারী ও সহযোগীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, “মাদক শুধু একটি নেশাজাতীয় দ্রব্য নয়, এটি সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশেষ করে তরুণ সমাজ মাদকের কারণে বিপথগামী হচ্ছে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভবিষ্যতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।” একই সঙ্গে মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

এমআর/সবা