আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাতের কাছে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, এই নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমি নির্বাচন কমিশনের সকল বিধিনিষেধ মেনে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে জনগণের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের শোডাউন, সহিংসতা কিংবা আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনা ইসলাম চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন, সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাদিকুর রহমান সেন্টুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিত বিএনপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের সকল নির্দেশনা ও আচরণবিধি মেনে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
বিএনপি’র আজহারুল ইসলাম মান্নান ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ১৫ প্রার্থী। তারা হলেন, গোলাম মসীহ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী (গণঅধিকার পরিষদ), মেহেদী হাসান (স্বতন্ত্র), আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মুহা. শাহজাহান (স্বতন্ত্র), আল মুজাহিদ মল্লিক (বিএনপি), আব্দুল করিম মুন্সী (স্বতন্ত্র), আলহাজ্ব ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী), আরিফুল ইসলাম (আমার বাংলাদেশ পার্টি), মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (স্বতন্ত্র), মিঠু মিয়া (এনডিএম), মামুন মাহমুদ (বিএনপি), সেলিম মাহমুদ (বাসদ) এবং জহিরুল ইসলাম সিরাজ (মুক্তিজোট)।
অপরদিকে, দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সে লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তার সঙ্গে আরও তিনজন বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কিনা—এ নিয়ে সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মনোবাসনা রক্ষায় অধ্যাপক রেজাউল করিম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এমআর/সবা























