নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
সুজন মিয়া পেশায় একজন ডাব বিক্রেতা। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানে আশে পাশের এলাকায় ডাব বিক্রি করে পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে কোন রকমে দিন কাটান। গত বৃহস্পতিবার নিজ বাড়ি নান্দাইলে পরিবার নিয়ে ভাতিজার বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ঢাকা থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক ট্রেন দূর্ঘটনায় সুজন সহ একই পরিবারের ৪ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন- নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বনাটী গ্রামের বাসিন্দা রইছ উদ্দিনের পুত্র সুজন মিয়া ( ৩৫) সুজন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ( ৩০) শিশু সন্তান সজিব মিয়া ( ৮) ও ইব্রাহীম মিয়া (৫)।
অন্যদিকে একই ট্রেনে স্বামীর কাছে ঢাকা যাচ্ছিলেন নান্দাইলের মুশুল্লি ইউনিয়নের মেরেঙ্গা গ্রামের জুনাইদের স্ত্রী জোসনা আক্তার। ট্রেন দূর্ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সুজনের ভাই স্বপন মিয়া জানান- সুজন ঢাকায় ডাব বিক্রির ব্যবসার করতো। গত শুক্রবার ভাইয়ের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবার সহ আসছিল। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা ফেরার পথে ট্রেন দূর্ঘটনায় সবাই মারা গেছে। আমি ঐ ট্রেনের ৫ নাম্বার বগিতে ছিলাম।
গতকাল সোমবার (২৩ অক্টোবর)বিকাল ৩ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভৈরব থেকে ঢাকা যাচ্ছিল যাত্রীবাহী এগারসিন্ধু ট্রেন। একই সময় মালবাহী ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি দুমরে মুচরে উল্টে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০০ জনের অধিক।
























