‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ উক্তিকে জনপ্রিয় করতে প্রথমে জাগদল পরে বিএনপি’র আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে জে. জিয়াউর রহমানের রাজনীতি শুরু, ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এ দলের দর্শণ। ১৯ দফার মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির শুরু হয়। এ দলের আত্মপ্রকাশের পর থেকে উপকূলবর্তী জেলা খুলনায় গত ৪৫ বছরের সফলতা ব্যর্থতা দুটোই রয়েছে। দলে বিভিন্ন সময়ে জোয়ার ভাটা হলেও খুলনায় সাংগঠনিক ভীত শক্ত করতে সক্ষম হয় দলটি।
১৯৭৫-৭৭ অবধি দেশে সামরিক শাসন বিরাজ করে। এ প্রেক্ষাপটে সেনা প্রধান রাজনৈতিক দল গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। মুসলিম লীগ, ন্যাপ (ভাসানী) ও পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) থেকে আসা নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল। মূলত: যোগাযোগ মন্ত্রী খান এ সবুরের মৃত্যুর পর মুসলিম লীগের ভাটা পড়লে বিএনপির পাল্লা খুলনায় ভারী হতে থাকে। দলের সূচনালগ্নে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমীর আলী জোয়ারদার, ন্যাপ (ভাসানী) থেকে শেখ তৈয়েবুর রহমান, মোঃ আশরাফ হোসেন, এম নুরুল ইসলাম, সৈয়দ ঈসা, গাজী আব্দুল বারী, এম মুনসুর আলী, জাসদ থেকে শেখ রাজ্জাক আলী, মনিরুজ্জামান মনি, পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি থেকে শফিকুল আলম মনা, অন্যান্য সংগঠন থেকে কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, শেখ মুজিবুর রহমান, শাহরুজ্জামান মোর্তজা, নুরুজ্জামান খোকন, কাজি আমিনুল হক, রেজাউল করিম, বিএনপি ও যুবদলে যোগদান করেন। কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম ও সৈয়দ ঈসা দল ত্যাগ করলেও পরে আবার ফিরে আসেন। যদিও তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত হয়নি। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক হুইপ আশরাফ হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।
দলকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জে. জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ১৯ মে থেকে ১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ বার খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট মহাকুমা সফর করেন। তার উল্লেখযোগ্য সফরগুলো মধ্যে রয়েছে, তেরখাদা, রূপসার বেলফুলিয়া, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, দেবহাটা ও খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস।
দলকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জে. জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ১৯ মে থেকে ১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ বার খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট মহাকুমা সফর করেন। তার উল্লেখযোগ্য সফরগুলো মধ্যে রয়েছে, তেরখাদা, রূপসার বেলফুলিয়া, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, দেবহাটা ও খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস।
তিনি ১৯৭৭ সালের ১০ এপ্রিল খুলনা শহর রক্ষা প্রকল্প, ১৯৭৯ সালের ১০ নভেম্বর এখানে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ, ১৯৭৮ সালের ১৪ এপ্রিল বিমান বন্দর ও ১৯৭৯ সালের ২৪ অক্টোবর খুলনা-বরিশাল সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
১৯৭৯ সালে আজকের বাগেরহাট-১ আসনে সৈয়দ মোজাহিদুর রহমান, একই বছর বাগেরহাট-২ আসনে এএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, ২০০১ সালে এমএ এইচ সেলিম, ১৯৭৯ সালে বাগেরহাট-৩ আসনে আফতাব উদ্দীন হাওলাদার, খুলনা-১ আসনে ১৯৭৯ সালে প্রফুল্ল কুমার শীল, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন খুলনা-২ আসনে শেখ রাজ্জাক আলী, ২০০১ সালে একই আসনে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া, ২০০৮ সালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ আসনে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে মোঃ আশরাফ হোসেন, খুলনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৯৭৯ সালে একেএম জিয়াউদ্দিন পল্টু, ২০০১ সালে এম নুরুল ইসলাম, ১৯৭৯ সালে খুলনা-৬ আসনে শেখ রাজ্জাক আলী, সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০০১ সালে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ১৯৭৯ সালে সাতক্ষীরা ২ আসনে সামসুল হক, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা-৩ আসনে অধ্যক্ষ আলী আহমেদ ও ১৯৭৯ সালে সাতক্ষীরা-৪ আসনে ডা. আফতাবুজ্জামান দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালে আজকের বাগেরহাট-১ আসনে সৈয়দ মোজাহিদুর রহমান, একই বছর বাগেরহাট-২ আসনে এএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, ২০০১ সালে এমএ এইচ সেলিম, ১৯৭৯ সালে বাগেরহাট-৩ আসনে আফতাব উদ্দীন হাওলাদার, খুলনা-১ আসনে ১৯৭৯ সালে প্রফুল্ল কুমার শীল, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন খুলনা-২ আসনে শেখ রাজ্জাক আলী, ২০০১ সালে একই আসনে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া, ২০০৮ সালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ আসনে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে মোঃ আশরাফ হোসেন, খুলনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৯৭৯ সালে একেএম জিয়াউদ্দিন পল্টু, ২০০১ সালে এম নুরুল ইসলাম, ১৯৭৯ সালে খুলনা-৬ আসনে শেখ রাজ্জাক আলী, সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০০১ সালে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ১৯৭৯ সালে সাতক্ষীরা ২ আসনে সামসুল হক, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা-৩ আসনে অধ্যক্ষ আলী আহমেদ ও ১৯৭৯ সালে সাতক্ষীরা-৪ আসনে ডা. আফতাবুজ্জামান দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জে. এরশাদের সামরিক শাসনের আওতায় ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ১৯৯১ সালে খুলনা-২, খুলনা-৩ আসনে বিএনপি জয়ী হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী সব ক’টি আসনে জয়ী হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা-২ আসন ছাড়া বাকি আসনগুলো হাত ছাড়া হয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনে দল ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে।
যাত্রার পর থেকে উন্নয়নের দিক থেকে সফলতা ১৯৭৯ সালে কয়রা থানার আত্মপ্রকাশ, পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজ (সোনাডাঙ্গা, জে. জিয়ার শাসনামলে) স্থাপন হয়। ১৯৯১ সালের পর থেকে কয়রা উপজেলা বিদ্যুতায়ন, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় আদালত স্থাপন, এম এম সিটি কলেজ, সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়, কুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম, সবুরুন্নেছা কলেজ, কলেজিয়েট গার্লস স্কুল স্থাপন, জিয়া হল, বায়তুন নুর মসজিদ কমপ্লেক্স, নগর ভবন ও খান এ সবুর মহিলা মাদ্রাসা স্থাপন বিএনপির বড় সফলতা।
ব্যর্থতার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ১৯৮০ সালে খুলনা জেলখানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিক বন্দী নিহত, খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস, কেটিএম, হার্ডবোর্ড মিলস ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি উৎপাদন বন্ধ।
যাত্রার পর থেকে উন্নয়নের দিক থেকে সফলতা ১৯৭৯ সালে কয়রা থানার আত্মপ্রকাশ, পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজ (সোনাডাঙ্গা, জে. জিয়ার শাসনামলে) স্থাপন হয়। ১৯৯১ সালের পর থেকে কয়রা উপজেলা বিদ্যুতায়ন, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় আদালত স্থাপন, এম এম সিটি কলেজ, সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়, কুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম, সবুরুন্নেছা কলেজ, কলেজিয়েট গার্লস স্কুল স্থাপন, জিয়া হল, বায়তুন নুর মসজিদ কমপ্লেক্স, নগর ভবন ও খান এ সবুর মহিলা মাদ্রাসা স্থাপন বিএনপির বড় সফলতা।
ব্যর্থতার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ১৯৮০ সালে খুলনা জেলখানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিক বন্দী নিহত, খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস, কেটিএম, হার্ডবোর্ড মিলস ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি উৎপাদন বন্ধ।
আত্মপ্রকাশের পর ১৯৭৯ সালে খুলনাভিত্তিক রাজনীতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ও সংসদ সদস্য শেখ রাজ্জাক আলী, সাতক্ষীরা ভিত্তিক রাজনীতিতে বস্ত্রমন্ত্রী এম মুনসুর আলী ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী ডা. আফতাবুজ্জামানের মধ্যে দন্ড প্রকট ছিল। ২০০১ সালের পর খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ তৈয়বুর রহমানের সাথে তরুণ নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দুই গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী ও উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী সে সময় তৈয়েবুর রহমানের পক্ষে অবস্থান নেন।
এবারের নতুন কমিটি আসার আগে স্থানীয় পর্যায়ে দলের দুই গ্রুপ পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আকস্মিকভাবে নগর ও জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর দুটি গ্রুপ প্রকাশ্যে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নগর কমিটির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা ও জেলায় আমীর এজাজ খান। এই অংশকে নেপথ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল। মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন বিলুপ্ত থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এ অংশের নেপথ্যে রয়েছেন নগর শাখার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি।
এবারের নতুন কমিটি আসার আগে স্থানীয় পর্যায়ে দলের দুই গ্রুপ পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আকস্মিকভাবে নগর ও জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর দুটি গ্রুপ প্রকাশ্যে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নগর কমিটির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা ও জেলায় আমীর এজাজ খান। এই অংশকে নেপথ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল। মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন বিলুপ্ত থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এ অংশের নেপথ্যে রয়েছেন নগর শাখার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি।
২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দুটি বলয় তৈরি হয়। সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে দলের বড় একটি অংশ দীর্ঘদিন নিস্ক্রিয় থেকে সাম্প্রতিক সময়ে সক্রিয় হয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
বর্তমান কমিটির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীর, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ এই অংশের নেতারা প্রথম দিকে বেশ সফলতার সঙ্গে প্রতিটি কর্মসূচি পালন করছেন। তবে ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আহবায়ক ও সদস্য সচিবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীরের । নতুন কমিটির নেতারাও এখন বহুভাবে বিভক্ত।
এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েতসহ বড় আরেকটি অংশের। এর ফলে দলের মধ্যে বিরাজ করছে অস্বস্তি-অস্থিরতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙে দিয়ে ৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০২২ সালের ১ মার্চ ৬৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ২৪ এপ্রিল ৫টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়। মূলত এরপর থেকেই অভ্যন্তরীণ বিরোধ বেড়েই চলেছে।
ত্যাগী অনেক নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত এ নিয়েই বর্তমান আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং তাদের অনুসারীদের সঙ্গে অন্যদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। গত ৪ আগস্ট সমাবেশে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েতের অনুসারিদের সঙ্গে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর অনুসারিদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।
বর্তমান কমিটির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীর, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ এই অংশের নেতারা প্রথম দিকে বেশ সফলতার সঙ্গে প্রতিটি কর্মসূচি পালন করছেন। তবে ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আহবায়ক ও সদস্য সচিবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীরের । নতুন কমিটির নেতারাও এখন বহুভাবে বিভক্ত।
এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েতসহ বড় আরেকটি অংশের। এর ফলে দলের মধ্যে বিরাজ করছে অস্বস্তি-অস্থিরতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙে দিয়ে ৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০২২ সালের ১ মার্চ ৬৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ২৪ এপ্রিল ৫টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়। মূলত এরপর থেকেই অভ্যন্তরীণ বিরোধ বেড়েই চলেছে।
ত্যাগী অনেক নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত এ নিয়েই বর্তমান আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং তাদের অনুসারীদের সঙ্গে অন্যদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। গত ৪ আগস্ট সমাবেশে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েতের অনুসারিদের সঙ্গে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর অনুসারিদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু বলেন, কমিটিসহ বেশ কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল। একটি অনাকাংখিত ঘটনাও ঘটেছে। সেটা কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল ও রকিবুল ইসলাম বকুল বসে মিটিয়ে দিয়েছেন।
তবে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, আহবায়ক কমিটির সভায় আলোচনা করেই কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু আহবায়ক কমিটির কয়েকজন নেতা ভুয়া অভিযোগ তুলে দলকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। সেগুলো নিরসন করা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীর বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। সমর্থকরাও এখন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু এই উপস্থিতিতে নেতাদের কোনো ভূমিকা নেই। বরং যোগ্য নেতৃত্বে অভাবে দলের মধ্যে ভেদাভেদ বাড়ছে। অপমান ও লাঞ্চিত হয়ে অনেক সিনিয়র নেতা কার্যালয় বিমূখ হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে সদস্য সচিবের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছায় দল পরিচালিত হয়। এখানে সিনিয়র নেতাদের কোনো মতামত নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। কিন্তু দলের মধ্যেই যদি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে কর্মীরা মনোবল হারিয়ে ফেলে।
তবে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি দল পুণর্গঠনের কাজে ব্যস্ত। আর যারা দলের কর্মকান্ডে ঠিকমতো সময় দেয় না, তারাই বিভিন্ন অভিযোগ করছে। তিনি ও আহবায়ক কারও সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন না।
এদিকে মহানগর বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ‘দা-কুমড়া’। গত ১৫ জুলাই মঞ্জু ফুলবাড়িগেট এলাকায় সভা করতে গেলে অপর গ্রুপ তার গাড়ি ভাংচুর করে। ১৭ জুলাই মঞ্জু গ্রুপ বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিলে হামলা করে তাদেরকে মঞ্চের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২৬ জুলাই মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি ও মঞ্জু গ্রুপ পৃথকভাবে ঢাকার সমাবেশে অংশ নেয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে পৃথকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দুই গ্রুপ।
তবে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, আহবায়ক কমিটির সভায় আলোচনা করেই কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু আহবায়ক কমিটির কয়েকজন নেতা ভুয়া অভিযোগ তুলে দলকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। সেগুলো নিরসন করা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীর বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। সমর্থকরাও এখন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু এই উপস্থিতিতে নেতাদের কোনো ভূমিকা নেই। বরং যোগ্য নেতৃত্বে অভাবে দলের মধ্যে ভেদাভেদ বাড়ছে। অপমান ও লাঞ্চিত হয়ে অনেক সিনিয়র নেতা কার্যালয় বিমূখ হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে সদস্য সচিবের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছায় দল পরিচালিত হয়। এখানে সিনিয়র নেতাদের কোনো মতামত নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। কিন্তু দলের মধ্যেই যদি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে কর্মীরা মনোবল হারিয়ে ফেলে।
তবে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি দল পুণর্গঠনের কাজে ব্যস্ত। আর যারা দলের কর্মকান্ডে ঠিকমতো সময় দেয় না, তারাই বিভিন্ন অভিযোগ করছে। তিনি ও আহবায়ক কারও সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন না।
এদিকে মহানগর বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ‘দা-কুমড়া’। গত ১৫ জুলাই মঞ্জু ফুলবাড়িগেট এলাকায় সভা করতে গেলে অপর গ্রুপ তার গাড়ি ভাংচুর করে। ১৭ জুলাই মঞ্জু গ্রুপ বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিলে হামলা করে তাদেরকে মঞ্চের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২৬ জুলাই মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি ও মঞ্জু গ্রুপ পৃথকভাবে ঢাকার সমাবেশে অংশ নেয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে পৃথকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দুই গ্রুপ।
প্রসঙ্গ নিয়ে শফিকুল আলম তুহিন বলেন, কয়েকজন নেতা দেড়বছরের বেশি সময় ধরে কর্মসূচিতে আসে না। সামনে বিএনপির সুসময় আসছে-এমন ধারণা থেকে তারা আবার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছে। এটা সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা।
মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি তিনি একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে অবহিত করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি দলে তাকে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে বলে অপেক্ষায় রয়েছেন।
৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও শোভাযাত্রা বের করে বিবাদমান দুই গ্রুপ। নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। অপরাংশের নেতৃত্ব দেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ অংশ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনার সভার আয়োজন করে।
মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি তিনি একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে অবহিত করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি দলে তাকে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে বলে অপেক্ষায় রয়েছেন।
৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও শোভাযাত্রা বের করে বিবাদমান দুই গ্রুপ। নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। অপরাংশের নেতৃত্ব দেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ অংশ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনার সভার আয়োজন করে।


























