০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় ‘আ. লীগ নেতার নাম না থাকায়’ ব্যানার খুলে ফেললেন ছাত্রলীগ নেতা

বগুড়া ব্যুরো
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের এক নম্বর ওয়ার্ড শাখা। কিন্তু সভায় অতিথি হিসেবে পছন্দের নেতার নাম ছিল না। এমন অভিযোগে ওই অনুষ্ঠানের ব্যানার খুলে ফেললেন উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা।
 শুক্রবার রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর কালিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের বাবার সাথে সব সময় থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাত টার দিকে সভা মঞ্চের পিছনে টাঙানো ব্যানারে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টুর নাম অতিথি হিসেবে না লেখায় ক্ষোভে তার অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রিটন সভা শুরুর আগেই সেই ব্যানারটি খুলে নিয়ে চলে যান। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-এলাহী কাজল, সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদুর বারী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এক নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু সরকার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার।
সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের এক নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম মন্টুর নাম না দেওয়ার কারনে ছাত্রলীগ নেতা রিটন ব্যানারটি খুলে নিয়ে যান। বিষয়টি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।
ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ডের পর ব্যানার ছাড়াই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যানার খুলে ফেলার স্বীকারও করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটনের দাবি, ‘দলের সব কাজে আমরা থাকি। অথচ আমার নিজ এলাকায় সভা হচ্ছে। আমাদের একটি কথাও বলা হয়নি। কেন বলা হয় নি? বিষয়টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় আমরা ব্যানারটি খুলে ফেলি।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুল ইসলাম মন্টু বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর নাম ব্যানারে প্রধান অতিথি ঠিকই লেখা হয়। অথচ আমার নাম লেখা হয় না। তাতে আমার কোন আক্ষেপ নেই। আমার নাম না রাখার জন্য ব্যানার খোলার ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক নয়। সভায় রিটনকে বলা হয়নি। এজন্য হয়তো অভিমানে সে এমন কিছু করতে পারে।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতার নাম না রাখা অথবা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে না বলার কারণে যদি ব্যানার খোলার ঘটনা ঘটে থাকে; তা স্থানীয় নেতাদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা উচিৎ। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।’
সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদুর বারী বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। সভা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা ব্যানার ছাড়াই সভা করেছি। সৃষ্ট সমস্যা পরে একটি ঘরোয়া বৈঠকের মাধমে সমাধান করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে একটা ভুলবুঝাবুঝি হিসেবে মন্তব্য করেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ওই ছাত্রলীগের নেতাসহ অন্যদের মাঝে একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিল। পরে আমরা বিষয়টি কথা বলে ঠিক করে নিয়েছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

বগুড়ায় ‘আ. লীগ নেতার নাম না থাকায়’ ব্যানার খুলে ফেললেন ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় : ০৬:২১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
বগুড়া ব্যুরো
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের এক নম্বর ওয়ার্ড শাখা। কিন্তু সভায় অতিথি হিসেবে পছন্দের নেতার নাম ছিল না। এমন অভিযোগে ওই অনুষ্ঠানের ব্যানার খুলে ফেললেন উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা।
 শুক্রবার রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর কালিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের বাবার সাথে সব সময় থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাত টার দিকে সভা মঞ্চের পিছনে টাঙানো ব্যানারে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টুর নাম অতিথি হিসেবে না লেখায় ক্ষোভে তার অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রিটন সভা শুরুর আগেই সেই ব্যানারটি খুলে নিয়ে চলে যান। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-এলাহী কাজল, সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদুর বারী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এক নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু সরকার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার।
সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের এক নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম মন্টুর নাম না দেওয়ার কারনে ছাত্রলীগ নেতা রিটন ব্যানারটি খুলে নিয়ে যান। বিষয়টি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।
ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ডের পর ব্যানার ছাড়াই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যানার খুলে ফেলার স্বীকারও করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটনের দাবি, ‘দলের সব কাজে আমরা থাকি। অথচ আমার নিজ এলাকায় সভা হচ্ছে। আমাদের একটি কথাও বলা হয়নি। কেন বলা হয় নি? বিষয়টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় আমরা ব্যানারটি খুলে ফেলি।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুল ইসলাম মন্টু বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর নাম ব্যানারে প্রধান অতিথি ঠিকই লেখা হয়। অথচ আমার নাম লেখা হয় না। তাতে আমার কোন আক্ষেপ নেই। আমার নাম না রাখার জন্য ব্যানার খোলার ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক নয়। সভায় রিটনকে বলা হয়নি। এজন্য হয়তো অভিমানে সে এমন কিছু করতে পারে।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতার নাম না রাখা অথবা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে না বলার কারণে যদি ব্যানার খোলার ঘটনা ঘটে থাকে; তা স্থানীয় নেতাদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা উচিৎ। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।’
সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদুর বারী বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। সভা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা ব্যানার ছাড়াই সভা করেছি। সৃষ্ট সমস্যা পরে একটি ঘরোয়া বৈঠকের মাধমে সমাধান করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে একটা ভুলবুঝাবুঝি হিসেবে মন্তব্য করেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ওই ছাত্রলীগের নেতাসহ অন্যদের মাঝে একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিল। পরে আমরা বিষয়টি কথা বলে ঠিক করে নিয়েছি।