প্রস্তুত ৮৬৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কায় ভোলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসনের বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯ টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান।
এ সময় তিনি জানান, যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় ৮৬৯ আশ্রয় কেন্দ্র ও ১২ টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮ কন্ট্রোল রুম। ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা ও সচেতন করার জন্য আনা এবং সচেতন করার জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি সিপিপির ১৩ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্ট এর ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করবে। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিওকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে যাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বেঁড়িবাধ ছুটি না যায়। গঠন করা হয়েছে ৯২ টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ত্রাণের চাল ও নগদ টাকাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ লাখ টাকা, দুর্যোগ এর জন্য ৩৪১ মেট্রিক টন চাল ও চাল প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪০২ মেট্রিক টন। শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং গো খাদ্যর জন্য ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপ-পরিচালক তামিম আল ইয়ামিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মামুন অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহ,ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম,বিআইডব্লিউটিএ ভোলার সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম,ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান,সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু প্রমুখ।
এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার সাথে লক্ষীপুর,বরিশাল, আলেকজান্ডার রুটের ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ।
ভোলায় সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি দেড় থেকে ২ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন উপকুলবাসী। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি ভেঙে যেতে পারে- এসন আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
























