খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহের লক্ষ্যে কাজ করা কয়েকজন গাছী জানান, ‘রস গ্রহনের জন্য সম্পূর্ন প্রস্তুত করতে প্রথমে গাছের উপরিভাগের এক সাইটের পাতা তথা বেল্লি কাটা হয়। এরপর কয়েকটি ধাপে খেজুর গাছের উপরিভাগের এক পাশে চাঁচ দিতে হয়। কয়েকদিন অন্তর অন্তর সামান্য পরিমানে চাঁচ ও চোখ আকৃতির কাটার পর রস আসা শুরু করে। তখন সেখানে সরু আকৃতির বাঁশের কুঞ্চির খিলিন দেয়া হয়। সেই খিলিন দিয়ে রস টপ টপ করে পড়ে থাকে। খিলিনের নিচে ভাঁড়, কলস বা বোতল দিয়ে রস সংগ্রহ করা হয়। এভাবে কয়েকদিন পর পর গাছের কাটার স্থানে চাঁচ দিলে জিরিন বা টাকটা রস আসে প্রতিনিয়ত। চাঁচ দেয়ার পর প্রথম আসা রসকে জিরিন রস বলা হয়ে থাকে। এরপর যে রস আসে সেগুলো উলা রস বা অন্যান্য নামও বলা হয়ে থাকে।’
গাছীরা আরো জানান, ‘গাছ প্রতি গাছিরা নিচ্ছেন দেড়শত থেকে দুই শত টাকা। গত বছর এক ভাঁড় রস বিক্রি করা হয়েছিলো ২’শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকা পর্যন্ত।’
আজগার আলী নামের এক গাছী জানান, ‘রস জ্বাল দিয়ে গুড় ও পাটালি তৈরি করা হয়ে থাকে। গোটা শীত মৌসুমে খেজুরের রস যেমন সবার কাছে আকর্ষণীয় তেমনি বছরজুড়ে খেজুরের গুড় ও পাটালিও থাকে মুখোরোচক খাদ্য হিসেবে।’
সবমিলিয়ে সৃষ্টিকর্তার অপরূপ নিদর্শন হিসেবে খেজুরের রস সংগ্রহে কর্মযজ্ঞতা শুরু হয়ে গেছে গোটা সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে। সেই সাথে শীতের নানান নামের ও রকমের পিঠা মৌসুমের সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে দেখা যাচ্ছে এখানে-সেখানে।’




















