০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের ৯ বছর পর একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম, জেলা প্রশাসকের সহায়তা

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • 70

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বিয়ের নয় বছরেও সন্তানের দেখা পাননি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ২নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের পালিবটতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মিনহাজুল-আইরিন দম্পতি। অবশেষে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আইরিন আক্তার। জন্ম নেয়া তিন সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মিনহাজুল ইসলাম ও আইরিন দম্পতির কোলজুড়ে আসে এক ছেলে ও এক মেয়ে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারীতে প্রথম ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে এক ছেলে সন্তান মারা গেলেও সুস্থ রয়েছে অপর দুই সন্তান।

এদিকে জন্ম নেয়া তিন সন্তানের প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল থেকে জেলাপ্রশাসকের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়,  ২০১৩ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সাইদুর ইসলামের ছেলে মিনহাজুলের সাথে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া এলাকার আইরিন আক্তারের পারিবারিক ভাবে ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। এতদিন সন্তান না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চালান তারা। পরে রংপুরের এক গাইনী ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়ার পরে সন্তান ধারণ করেন আইরিন আক্তার।

তিন সন্তানের বাবা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বিয়ের এতদিন পর আল্লাহ আমাদেরকে সন্তান দিছে এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমি তো অটোভ্যান চালাই, আমি চাই আমার সন্তানেরা লেখাপড়া করে চাকরি করুক। তাদের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

তিন সন্তানের নানী মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন,  এতদিন পর আমার মেয়ের তিন সন্তান হইছে। এক ছেলে মারা গেছে। আমরা চাই বাকি দুই সন্তান সুস্থ স্বাভাবিক থাকে এই দোয়া চাই। আর আজকে সরকারের পক্ষ থেকে এডিসি স্যার আসে দেখাশোনা করলেন, ফলমূল আর আর্থিক সহায়তা করলেন। এজন্য খুব ভালো লাগছে।

এদিকে তিন সন্তানের জন্মের ঘটনায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে তাদের দেখতে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি বলেন, তিন সন্তানের বাবা সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকতেন। জেলা প্রসাশকের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষা ও দেখভালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা ও ফলমূল দেয়া হয়েছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন সবসময় পাশে আছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ের ৯ বছর পর একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম, জেলা প্রশাসকের সহায়তা

আপডেট সময় : ০৭:১১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বিয়ের নয় বছরেও সন্তানের দেখা পাননি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ২নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের পালিবটতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মিনহাজুল-আইরিন দম্পতি। অবশেষে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আইরিন আক্তার। জন্ম নেয়া তিন সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মিনহাজুল ইসলাম ও আইরিন দম্পতির কোলজুড়ে আসে এক ছেলে ও এক মেয়ে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারীতে প্রথম ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে এক ছেলে সন্তান মারা গেলেও সুস্থ রয়েছে অপর দুই সন্তান।

এদিকে জন্ম নেয়া তিন সন্তানের প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল থেকে জেলাপ্রশাসকের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়,  ২০১৩ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সাইদুর ইসলামের ছেলে মিনহাজুলের সাথে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া এলাকার আইরিন আক্তারের পারিবারিক ভাবে ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। এতদিন সন্তান না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চালান তারা। পরে রংপুরের এক গাইনী ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়ার পরে সন্তান ধারণ করেন আইরিন আক্তার।

তিন সন্তানের বাবা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বিয়ের এতদিন পর আল্লাহ আমাদেরকে সন্তান দিছে এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমি তো অটোভ্যান চালাই, আমি চাই আমার সন্তানেরা লেখাপড়া করে চাকরি করুক। তাদের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

তিন সন্তানের নানী মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন,  এতদিন পর আমার মেয়ের তিন সন্তান হইছে। এক ছেলে মারা গেছে। আমরা চাই বাকি দুই সন্তান সুস্থ স্বাভাবিক থাকে এই দোয়া চাই। আর আজকে সরকারের পক্ষ থেকে এডিসি স্যার আসে দেখাশোনা করলেন, ফলমূল আর আর্থিক সহায়তা করলেন। এজন্য খুব ভালো লাগছে।

এদিকে তিন সন্তানের জন্মের ঘটনায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে তাদের দেখতে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি বলেন, তিন সন্তানের বাবা সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকতেন। জেলা প্রসাশকের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষা ও দেখভালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা ও ফলমূল দেয়া হয়েছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন সবসময় পাশে আছে।