আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই মুন্সিগঞ্জের -৩ আসন উত্তপ্ত।১৮ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দের পরপরই মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের গজারিয়া উপজেলা উক্তপ্ত হয়ে উঠে।পরে এ উত্তপ্ততা সংঘর্ষে গড়ায়।সাবেক ইউপি সভাপতি ছাত্রলীগ নেতা সহ একাধিক আহত।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চরচাষী এলাকায় নৌকা পার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর হাজী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী এলাকার কাজী ফার্মের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় দুই পক্ষের সাত জন আহত হয়েছে ।এ সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকা সমর্থকদের হামলায় সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মহিউদ্দিন মোল্লাসহ একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন নৌকার সমার্থক জাহাঙ্গীর (৪৮) পিতা শাহাজালাল বেপারী নতুন চরচাষি, ইমন (২৩) পিতা বাবলু মিয়া ,মুক্তার, (৪২) পিতা সোহরাব হোসেন।দাউদকান্দি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়নও আহত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমার্থকরা হলেন, মোকলেস মিয়া (২৪) পিতা আশক আলী ব্যাপারী, মহিউদ্দিন মোল্লা (৪৫)পিতা মৃত শহীদ মোল্লা, মোশাররফ (৩৬) পিতা,শাজু বেপারি, পুরান চাষি। নিজাম উদ্দিন (৩৭) পিতা নুরু মিয়া, নতুন চাষী,হেলাল উদ্দিন,পিতা মীর কাশেম সরকার নতুন চাষি, সহ ৫ /৬ জন আহত হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানে না।তবে নৌকার সমর্থকের দাবি পরিকল্পিত ভাবে তাদের আক্রমণ করা হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশাদ কবির জানান বেলা চারটা নাগত গুরুত্ব আহত হয়ে ৫ জন রোগী হাসপাতালে আসে আমরা সকলকেই চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতে ভর্তি করেছি।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিস ইনর্চাজ মো: রাজিব খান জানান ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনার পর সমস্ত গজারিয়া উপজেলা স্তব্ধ।তৃনমূল নেতা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকরা আতংকে।চায়ের দোকানে কয়েক জনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়,এত আগে থেকেই এরকম হানাহানি যুদ্ধ শুরু করেছে।আমাদেন পরিবার আছে। এরকম হলে ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রই যাবোনা ভোট দিতে কোনো পার্থীকে।
মৃণাল কান্তি দাস এবং হাজী ফয়সাল বিপ্লবের
দন্দ অনেক আগে থেকেই।গেলো ২৯ সেপ্টেম্বর সদরে হাজী বিপ্লবের নেতৃতে প্রধান মন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন করতে গজারিয়া থেকে নেতা কর্মীরা গেলে মৃণার কান্দি দাসের সমর্থকদের অতর্কিত হামলায় বিপ্লব এর শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছিল।























