একটি দেশ তথা এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সড়ক । দেশ যখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় ভরপুর তখন উন্নয়নে পিছিয়ে যশোরের শার্শার উত্তর শার্শার কয়েক হাজার মানুষ । তবে নির্বাচন সামনে রেখে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে শার্শার কামারবাড়ি মোড় হতে ব্যাংদহ বাজারের ১৮কিলোমিটার সড়কটির কাজ শুরু হয়েছে ।
জানা যায় , উত্তর শার্শার তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস । কিন্তু এখানে দীর্ঘ ১যুগের বেশী যোগাযোগের ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে চরম বঞ্চিত সাধারণ মানুষ । তবে অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে খো যায় , শার্শার কামারবাড়ি থেকে ব্যাংদহ সড়কের অংশ ভেদে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ কেরা হচ্ছে । নিজামপুর , গোড়পাড়া , শাড়াতলা সড়কের পাশাপাশি অনেকগুলো ক্ষুদ্র পানি নিস্কাশনের ড্রেন বা কালভার্ট নির্মান করা হচ্ছে।
সড়কে চলাচল কয়েকজন গাড়ি চালকরা জানান, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হচ্ছে এটি একটি সাধনা। এই সড়কটি শার্শা – চৌগাছা যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কিন্তু সড়কের অবস্থা এতটা নাজেহাল ছিল এই সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হতো।
সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আল মামুন জানান, বাংলাদেশের সকল জেলা উপজেলায় উন্নয়নের রোল মডেল সেদিকে লক্ষ্য করলে শার্শা উপজেলা অনেক পিছিয়ে। ধরেন, এই রাস্তা (শার্শা- চৌগাছা) সবচেয়ে সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে তবে যা এতটায় অবহেলিত ছিলো যা বুঝানো কঠিন। তবে নির্মানের পর এই সড়কে প্রচুর জনযাত্রা ও গাড়ি চলাচল ও বৃদ্ধি পাবে।
নিজামপুর ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শার্শায় শেখ হাসিনার উন্নয়ন শতভাগ বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে কিন্তু সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা একদমই ভালো নয়। প্রায় দশ বছর আছে এই উত্তর শার্শায় ১০ শয্য মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে আজও সেটা উদ্বোধন বা চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হয় নি তা লজ্জার বিষয়। অপরদিকে এই সড়কটির অবস্থা এতটায় খারাপ ছিলো যা বলার বাহিরে। অবশেষে সড়কটি হচ্ছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) এম এম মামুন হাসান বলেন,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এলজিইডি কতৃক বাস্তবায়নাধীন সড়ক উন্নয়নের প্রকল্পটি উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং করছে। কাজে ব্যায় হবে ৮০কোটি ২৯ লক্ষ্য ৬২ হাজার ২৮০ টাকা। সড়কটির উন্নয়ন কাজের মধ্যে ৫টি ব্রীজ, ১৬ টি কালভার্ট, ৪টি বাজার সেড সহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে।























