১১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শার্শায় উন্নত জাতের সরিষার চাষ বৃদ্ধি 

যশোরের শার্শা উপজেলা জুড়ে উন্নত জাতের সরিষা-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ বিনা সরিষা-৯, পাঞ্জাবজটা ও বুলেট সরিষা চাষ হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ১৫৬ হেক্টর।

কৃষি বিভাগ থেকে লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ১০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চলতি বছরে আরো ৫৬ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বারি সরিষা-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ বিনা সরিষা-৯, পাঞ্জাবজটা ও বুলেট সরিষা রয়েছে।

এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন তোলার পরপরই বপন করা হয়েছে সরিষা। ফুলের হলুদ চাদরে এখন ঢাকা পড়েছে জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। কম খরচে বেশি ফলন হওয়ায় সরিষা চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।

শাড়াতলা এলাকার কৃষক জাকির মিয়া বলেন, উন্নত জাত“বারি-১৪ জাতের সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর একই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণও কম লাগে।”এদিকে বিবেচনায় খরচটা সাশ্রয় হয়।

উপজেলার নিজামপুর এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ইরি-বোরো চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদের আগে খরচ পোষাতেই সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা। নতুন জাতের বারি সরিষা-১৪ রোপনে উৎসাহিত করায় কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। প্রতি হেক্টরে প্রায় দুই টন ফলন হয় এ সরিষায়। ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরিষা আবাদ করে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঝামাঝি সময়ে সরিষা ঘরে তোলা যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, শার্শা উপজেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রতিবছর সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকার সারিষা ক্ষেতগুলো ফুলে ফুলে হলুদ প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। কৃষি বিভাগের প্রণোদনা এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

শার্শায় উন্নত জাতের সরিষার চাষ বৃদ্ধি 

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
যশোরের শার্শা উপজেলা জুড়ে উন্নত জাতের সরিষা-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ বিনা সরিষা-৯, পাঞ্জাবজটা ও বুলেট সরিষা চাষ হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ১৫৬ হেক্টর।

কৃষি বিভাগ থেকে লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ১০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চলতি বছরে আরো ৫৬ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বারি সরিষা-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ বিনা সরিষা-৯, পাঞ্জাবজটা ও বুলেট সরিষা রয়েছে।

এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন তোলার পরপরই বপন করা হয়েছে সরিষা। ফুলের হলুদ চাদরে এখন ঢাকা পড়েছে জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। কম খরচে বেশি ফলন হওয়ায় সরিষা চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।

শাড়াতলা এলাকার কৃষক জাকির মিয়া বলেন, উন্নত জাত“বারি-১৪ জাতের সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর একই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণও কম লাগে।”এদিকে বিবেচনায় খরচটা সাশ্রয় হয়।

উপজেলার নিজামপুর এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ইরি-বোরো চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদের আগে খরচ পোষাতেই সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা। নতুন জাতের বারি সরিষা-১৪ রোপনে উৎসাহিত করায় কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। প্রতি হেক্টরে প্রায় দুই টন ফলন হয় এ সরিষায়। ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরিষা আবাদ করে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঝামাঝি সময়ে সরিষা ঘরে তোলা যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, শার্শা উপজেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রতিবছর সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকার সারিষা ক্ষেতগুলো ফুলে ফুলে হলুদ প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। কৃষি বিভাগের প্রণোদনা এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।