উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ১৫৬ হেক্টর।
কৃষি বিভাগ থেকে লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ১০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চলতি বছরে আরো ৫৬ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বারি সরিষা-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ বিনা সরিষা-৯, পাঞ্জাবজটা ও বুলেট সরিষা রয়েছে।
এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন তোলার পরপরই বপন করা হয়েছে সরিষা। ফুলের হলুদ চাদরে এখন ঢাকা পড়েছে জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। কম খরচে বেশি ফলন হওয়ায় সরিষা চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।
শাড়াতলা এলাকার কৃষক জাকির মিয়া বলেন, উন্নত জাত“বারি-১৪ জাতের সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর একই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণও কম লাগে।”এদিকে বিবেচনায় খরচটা সাশ্রয় হয়।
উপজেলার নিজামপুর এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ইরি-বোরো চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদের আগে খরচ পোষাতেই সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা। নতুন জাতের বারি সরিষা-১৪ রোপনে উৎসাহিত করায় কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। প্রতি হেক্টরে প্রায় দুই টন ফলন হয় এ সরিষায়। ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরিষা আবাদ করে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঝামাঝি সময়ে সরিষা ঘরে তোলা যায়।

























