১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টির জয়ে অপেক্ষা বাড়ল নাজমুলদের

 

বৃষ্টির শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। সেটাই সত্যি হয়ে ঝুম বৃষ্টি নামে ১১ ওভার শেষ হতেই। সবুজ পাহাড়ের কোলঘেষা নয়নাভিরাম বে ওভালে আর থামেনি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ চলে যায় বৃষ্টির পেটে। গতকাল বে ওভালে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে কিউইরা ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৭২ রান করে। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলা হয়নি। প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশের সামনে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিতের সুযোগ ছিল। আর স্বাগতিক দল মরিয়া ছিল সমতা আনায়। বৃষ্টি দুই দলকেই অপেক্ষায় রাখলো শেষ ম্যাচ অব্দি। আগামীকাল একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচটি জিতলেই প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। গত ম্যাচের পর এই ম্যাচেও নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তার অফসাইডের বাইরের ডেলিভারিটি ড্রাইভ করতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দি হন ফিন অ্যালেন। মাত্র দুই রানে বিদায় নিতে হয় তাকে। অ্যালেন বিদায় নিলেও ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন টিম সেইফার্ট। প্রথম ওভারে তার কাছেই ১২ আন দেন তানজিম হাসান। যদিও নিজের দ্বিতীয় ওভারে তাকে ফেরান তানজিম। তার অফসাইডের বাইরের বলে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন সেইফার্ট। বল চলে যায় উপরে। যথেষ্ট সময় নিয়ে মিড অফ অঞ্চলে তার ক্যাচটি মুঠোবন্দির সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফেরার আগে ২৩ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করেন সেইফার্ট। সেইফার্ট ফেরার একটু পরই শুরু হয় বৃষ্টি। যার কারণে খেলা বন্ধ হয়। ক্রমশই বেড়ে যায় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না থামায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ড্যারিল মিচেল ২৪ বলে ১৮ এবং গ্লেন ফিলিপস ১৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিন অবশ্য একটি রেকর্ড হয়েছে। প্রথমবার বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে দেখা গেছে একজন নারী আম্পায়ারকে। তার নাম কিম ডায়ানা কটন। ৪৬ বছর বয়সি এই নিউজিল্যান্ডের নারী আম্পায়ার চলতি বছরের এপ্রিলে ছেলেদের ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে আসেন। এর আগে তিনটি টি-২০ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন কিম। এর মধ্যে দুটিতে তিনি ছিলেন টিভি আম্পায়ারের ভূমিকায়।
বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। ম্যাচে তিন ওভারে মাত্র ১০ রান দেন তিনি। উইকেট না পেলেও ১৮ বলের মধ্যে ৯টিতে ডট বল দেন তিনি। ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করা সেইফার্টকেও ভুগিয়েছেন। যার কারণে কিউই ওপেনার টিম সেইফার্টের প্রশংসায় ভাসছেন এই লেগ স্পিনার। ম্যাচ শেষে কিউই উইকেটরক্ষক বলেন, ‘সে খুব ভালো বোলিং করেছে। সে এমনভাবে বোলিং করছিল যেন বাতাসের কারণে সুবিধা পায়। আজ বেশ বাতাসও ছিল। তাই সামনের দিকে খেলা অবশ্যই অনেক কঠিন ছিল। অবশ্যই সীমানা (বাউন্ডারি) ঠিকঠাকই ছিল। তবে প্রচুর বাতাসও ছিল। তাই জায়গা অনুযায়ী বোলিং করতে পারায় সে দারুণ করেছে। তবে আমার মনে হয় তাকে ছেলেরা ঠিকমতোই খেলেছে। তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। প্রথম দুই ওভারে সে অসাধারণ বোলিং করেছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

বৃষ্টির জয়ে অপেক্ষা বাড়ল নাজমুলদের

আপডেট সময় : ০৮:৪২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

 

বৃষ্টির শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। সেটাই সত্যি হয়ে ঝুম বৃষ্টি নামে ১১ ওভার শেষ হতেই। সবুজ পাহাড়ের কোলঘেষা নয়নাভিরাম বে ওভালে আর থামেনি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ চলে যায় বৃষ্টির পেটে। গতকাল বে ওভালে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে কিউইরা ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৭২ রান করে। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলা হয়নি। প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশের সামনে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিতের সুযোগ ছিল। আর স্বাগতিক দল মরিয়া ছিল সমতা আনায়। বৃষ্টি দুই দলকেই অপেক্ষায় রাখলো শেষ ম্যাচ অব্দি। আগামীকাল একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচটি জিতলেই প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। গত ম্যাচের পর এই ম্যাচেও নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তার অফসাইডের বাইরের ডেলিভারিটি ড্রাইভ করতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দি হন ফিন অ্যালেন। মাত্র দুই রানে বিদায় নিতে হয় তাকে। অ্যালেন বিদায় নিলেও ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন টিম সেইফার্ট। প্রথম ওভারে তার কাছেই ১২ আন দেন তানজিম হাসান। যদিও নিজের দ্বিতীয় ওভারে তাকে ফেরান তানজিম। তার অফসাইডের বাইরের বলে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন সেইফার্ট। বল চলে যায় উপরে। যথেষ্ট সময় নিয়ে মিড অফ অঞ্চলে তার ক্যাচটি মুঠোবন্দির সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফেরার আগে ২৩ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করেন সেইফার্ট। সেইফার্ট ফেরার একটু পরই শুরু হয় বৃষ্টি। যার কারণে খেলা বন্ধ হয়। ক্রমশই বেড়ে যায় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না থামায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ড্যারিল মিচেল ২৪ বলে ১৮ এবং গ্লেন ফিলিপস ১৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিন অবশ্য একটি রেকর্ড হয়েছে। প্রথমবার বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে দেখা গেছে একজন নারী আম্পায়ারকে। তার নাম কিম ডায়ানা কটন। ৪৬ বছর বয়সি এই নিউজিল্যান্ডের নারী আম্পায়ার চলতি বছরের এপ্রিলে ছেলেদের ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে আসেন। এর আগে তিনটি টি-২০ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন কিম। এর মধ্যে দুটিতে তিনি ছিলেন টিভি আম্পায়ারের ভূমিকায়।
বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। ম্যাচে তিন ওভারে মাত্র ১০ রান দেন তিনি। উইকেট না পেলেও ১৮ বলের মধ্যে ৯টিতে ডট বল দেন তিনি। ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করা সেইফার্টকেও ভুগিয়েছেন। যার কারণে কিউই ওপেনার টিম সেইফার্টের প্রশংসায় ভাসছেন এই লেগ স্পিনার। ম্যাচ শেষে কিউই উইকেটরক্ষক বলেন, ‘সে খুব ভালো বোলিং করেছে। সে এমনভাবে বোলিং করছিল যেন বাতাসের কারণে সুবিধা পায়। আজ বেশ বাতাসও ছিল। তাই সামনের দিকে খেলা অবশ্যই অনেক কঠিন ছিল। অবশ্যই সীমানা (বাউন্ডারি) ঠিকঠাকই ছিল। তবে প্রচুর বাতাসও ছিল। তাই জায়গা অনুযায়ী বোলিং করতে পারায় সে দারুণ করেছে। তবে আমার মনে হয় তাকে ছেলেরা ঠিকমতোই খেলেছে। তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। প্রথম দুই ওভারে সে অসাধারণ বোলিং করেছে।’