নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আরিফ ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকার জনতা ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশের একটি টিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী লাভলী আক্তার (৪৫), একই এলাকার বাফাজ উদ্দিনের ছেলে নুর আমিন নুর বাবু (৩৬), নীলফামারী সদর উপজেলার কাদিখোল ঢেলাপীর এলাকার সামসুল আলমের ছেলে জয়নুল ইসলাম (৪২) এবং সৈয়দপুর শহরের কয়া গোলাহাট দক্ষিণ (গোলাহাট ২নং উর্দুভাষী ক্যাম্প) এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রাসেল ইসলাম (২৪)। জানা যায়, ভুক্তভোগী যুবক আরিফ হোসেন (২০) নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা এলাকার চৌধুরী পাড়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে। তিনি দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় জনতা ব্যাংক সংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকে। গত ৭ ডিসেম্বর রাত ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি সাধারণ পোশাকে এসে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন।
বাড়িতে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা আরিফকে বলেন যে, তোমার নামে কিছু তথ্য আছে। আমরা তোমার ঘর তল্লাশি করব। ডিবি অফিসের কথা বলে ঘরে ঢুকে দুইটি এন্ড্রোয়েড ফোন, একটি ল্যাপটপসহ নগদ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ তাকে মোটরসাইকেলে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ঢেলাপীর পুরান পোড়ার হাট রোডের একটি বাসায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে আরিফ কে বলে যে, আমরা তোকে ছেড়ে দেব, তুই যদি তোর বাসায় ফোন করে তোর সমস্যার কথা জানিয়ে আমাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে দিস। তা না হলে তোকে ছাড়ব না এবং তোকে আমরা মাদক দিয়ে মামলা করে চালান করব। এভাবে বিভিন্ন বিষয়ে ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে আরিফ নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় নীলফামারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে তোলা হবে। পলাতক আসামিদের শনাক্ত করাসহ গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
























