রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারনে ৫ ঘন্টা সাময়িক বন্ধ থাকার পর পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। নদীপথে কুয়াশার ঘনত্ব হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার দিবাগত রাত ৩ টা ৪০ মিনিট থেকে রোববার সকাল ৮ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পরে এ পথে যাতায়াত করা হাজারো মানুষসহ চালক ও সহযোগীরা। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , শনিবার দিবাগত রাত রাত ৩ টা থেকে পদ্মা নদীর অববাহিকায় হঠাৎ ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এর মধ্যে শনিবার রাত সাড়ে ৩ টার আগে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও ইউটিলিটি ফেরী করবী মাঝনদীতে পৌঁছে দিক হারিয়ে ফেলে। পরে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি দুটি মাঝনদীতেই নোঙর করতে বাধ্য হয়।
এ সময় সামান্য একটু দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছিল না। এ খবরে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে অন্য ফেরিগুলো ছাড়া বন্ধ করে দেয়। এ সময় অধিকাংশ ফেরি ঘাটেই যানবাহন বোঝাই করে নোঙর করে থাকে। পরে রোববার সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটের দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে ফেরিগুলো একে একে ছাড়তে শুরু করে।
সাতক্ষীরা পরিবহনের যাত্রী ইলিয়াস হোসেন জানান, আজ ভোরে তিনি সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন । বেলা ১১ টার মধ্যে ঢাকা থাকার কথা তার।কিন্তু ঘাটে এসে ফেরি বন্ধ পাওয়ায় যথাসময়ে পৌঁছাতে না পারা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি।
লালন পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট তত্বাবধায়ক বারেক মন্ডল জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশা পরায় ৩ টা ৪০ মিনিট থেকে সকাল ৮ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হয়। যানবাহনের লম্বা সারি না থাকলেও ঠান্ডার প্রকোপে দূর্ভোগে পরে চালক, চালকদের সহযোগী ও যাত্রীরা। এ সময় খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাড়ি থেকে বের হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশায় শনিবার দিবাগত রাত ৩ টা ৪০ মিনিট থেকে রোববার সকাল ৮ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে মাঝ নদীতে আটকে ছিল বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও করবী নামের দুটি ফেরি। এছাড়াও পূর্ণ লোড নিয়ে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিভিন্ন ঘাট-পন্টুনে ভিড়ে ছিল ৮ টি ফেরী। বহরে থাকা অপর ফেরিগুলো ছিল নৌপথের পাটুরিয়া ঘাটে।
ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক হয় । দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে বলে তিনি জানান ।