গত কয়েক দিন ধরে কমছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের তাপমাত্রা। দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। একই সাথে হিম শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে দিনাজপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো।
একইসঙ্গে এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান সবুজ বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুয়াশা কম থাকলেও গেল কয়েক দিন ধরে দিনাজপুরে দুপুরের পরেই দেখা মিলছে সূর্যের। কনকনে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা।
সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মহরমপুর গ্রামের কৃষক আল-আমিন সবুজ বাংলাকে বলেন, এখন ভুট্টার সময়। জমিতে পানি দেওয়া লাগে। সকালে উঠে শীত উপেক্ষা করে আমাদের জমিতে আসতে হয়। পানি সেচ দিতে হয়। কয়দিন ধরে যেভাবে বাতাস বইছে আর তাপমাত্রা কমছে মোটা কাপড়েও শীত মানছে না। কিন্তু আমাদের আর কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে শীত উপেক্ষা করে বের হতে হচ্ছে।
অটোরিকশা চালক হাসান আলী বলেন, যে পরিমাণে বাতাস বইছে দাঁড়িয়ে থাকলেও তা সহ্য করা যাচ্ছে না। আমাদের কাজ গাড়ি নিয়ে বেড়ানো। বাতাসের কারণে একটু বেশি ঠান্ডা লাগে। ঠিক মতো ভাড়া মারতে পারি না। কিন্তু পেটতো আর শীত মানে না। তাই অটোরিকশা নিয়ে বের হতেই হয়।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান সবুজ বাংলাকে জানান, গেল কয়েক দিন ধরে এই অঞ্চলে বাতাসের গতি বেড়েছে। আর কুয়াশা তেমন না থাকলেও তাপমাত্রা কমেছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
























