০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সিলেট ৬ আসন

হঠাৎ আলোচনায় শমসের মুবিন, বেকায়দায় নাহিদ 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কদিন। আগামী ৫ জানুয়ারি বন্ধ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার  উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ২৩৪ (সিলেট-৬ আসন)। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৫৩ জন। তন্মধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৪ জন পুরুষ ভোটার, ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৫৮ জন নারী ভোটার এবং ১ জন হিজড়া ভোটার।
এই নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৬ জন প্রার্থী। তন্মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা), কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন (ঈগল), জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন (লাঙল),তৃণমূল বিএনপির শমসের মুবিন চৌধুরী (সোনালি আঁশ), ইসলামি ঐক্যজোটের মাওলানা সাদিকুর রহমান (মিনার) এবং সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট-মুক্তিজোটের আতাউর রহমান (ছড়ি)। কিন্তু এই আসনে হঠাৎ করে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। আলোচনায় উঠে এসেছেন  তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী।

নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা পূর্ব থেকেই এই আসনটি আলোচনায় ছিল  বিএনপির সাবেক  ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সদ্য নিবন্ধন পাওয়া নতুন রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরীকে কেন্দ্র করে। তফশিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে নির্বাচনী জোট হলে শমসের মুবিন চৌধুরীকে জোটের একক প্রার্থী করা হতে পারে বলে জোর আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটে যখন বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে আবারও মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ । মনোনয়ন পাওয়ার পরও তিনি তা প্রত্যাহার করেন কিনা সেবিষয়েও কম আলোচনা হয়নি। অবশেষে কিছুই হলো না। প্রতীক বরাদ্দের পর গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে বেশ জোরেশোরে প্রচার-প্রচারণা করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সেলিম উদ্দিন।

সকল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী সহ বাকি দুই প্রার্থী সাধারণ ভোটারদের আলোচনায় তেমন স্থান পাননি। কিন্তু হঠাৎ আচমকাই এক নির্দেশনায় বদলে যায় সম্পূর্ণ দৃশ্যপট। নতুন করে আলোচনায় শীর্ষে চলে আসছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী।

সেই ঘটনার সূত্রপাত, নাহিদকে হঠাৎ ঢাকায় তলব গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর থেকে। গত ২৮ শে ডিসেম্বর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন নাহিদ  কিন্তু হঠাৎ কেন্দ্রের তলবে  ঢাকায় যেতে হয় তাকে। হঠাৎ করে নাহিদের এমন ঢাকা সফর জনমনে নানা জল্পনার ডালপালা মেলে।  তিনি ঢাকায় যাওয়ার পর নতুন কোনো নির্দেশনা আসছে কিনা এমন উৎকণ্ঠায় ছিলেন নাহিদ বলয়ের নেতাকর্মীরা। ঢাকার কাজ শেষ করে সিলেটে এসে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় যোগ দিলেও তার নেতাকর্মীদের উৎকণ্ঠা এখনো কাটেনি। তবে নুরুল ইসলাম নাহিদের অনেক নেতাকর্মী এখনো মনে করেন সকল জল্পনাকল্পনা শেষে তিনি আবারও বিজয়ী হবেন।
শুরু থেকেই গুঞ্জন ছিল চৌধুরী বলয় গোপনে শমসের মুবিন চৌধুরীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে গত শুক্রবার রাতে পৌর শহরের একটি কনভেনশন হলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিমের উদ্যোগে যখন শমসের মুবিন চৌধুরীকে নিয়ে নির্বাচনী সভা করেন। এসময় তার সঙ্গে  গোলাপগঞ্জ উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। এসময় এলিম চৌধুরী দাবি করেন উপরের নির্দেশনা নিয়েই তিনি সোনালি আঁশকে সমর্থন করছেন। তবে কে এই নির্দেশনা দিয়েছেন তা খোলাসা করেন নি তিনি। সেই সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা শমসের মুবিন চৌধুরীর পক্ষে মাঠে  নেমেছি। এ ছাড়া তিনি (শমসের) আমার উপজেলার একজন কৃতী সন্তান। আমাদের সিলেট-৬ আসনে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই আমরা শমসেরের পক্ষ নিয়েছি।’
শমসের মবিন প্রথমদিকে নির্বাচনী আলোচনায় না থাকলেও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এলিম চৌধুরী তাকে সমর্থনের পরপরই দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।

এখন তৃণমূল বিএনপি’র শিবিরে নির্বাচনী প্রচারণায় গতি বেড়েছে অনেক গুণ। ভোটের মাঠে তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা, এমনকি সেন্টার ভিত্তিক কমিটি গঠন একদিনের ভিতরে সম্পন্ন হয়েছে। এসব কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল স্থানীয় আওয়ামী নেতারা তাদের উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন। লক্ষ করে দেখা যায় গতকাল থেকে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে শমসের মবিন চৌধুরীর মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি নির্বাচনের মাঠে ভোটারের নজর কাড়তে প্রার্থী নিজেও প্রতিদিন একাধিক স্থানে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মঞ্জুর শাফি চৌধুরীসহ সিলেট-৬ আসনের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দলের উচ্চপর্যায় থেকে শমসের মুবিন চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই আজ প্রকাশ্যে প্রচারণায় নেমেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও নিজেদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে শমসেরের পক্ষে মাঠে নামবেন।

তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমন ত্রিমুখী অবস্থান এবং আসনটিতে স্বয়ং তিনি প্রার্থী হওয়ায় যেকোনো নাটকীয়তা ঘটতে পারে বলে ভোটারসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করছেন।
উল্লেখ্য, এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ। আওয়ামী লীগের টিকিটে তিনি ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টানা দুই দফা শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

সিলেট ৬ আসন

হঠাৎ আলোচনায় শমসের মুবিন, বেকায়দায় নাহিদ 

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কদিন। আগামী ৫ জানুয়ারি বন্ধ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার  উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ২৩৪ (সিলেট-৬ আসন)। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৫৩ জন। তন্মধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৪ জন পুরুষ ভোটার, ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৫৮ জন নারী ভোটার এবং ১ জন হিজড়া ভোটার।
এই নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৬ জন প্রার্থী। তন্মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা), কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন (ঈগল), জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন (লাঙল),তৃণমূল বিএনপির শমসের মুবিন চৌধুরী (সোনালি আঁশ), ইসলামি ঐক্যজোটের মাওলানা সাদিকুর রহমান (মিনার) এবং সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট-মুক্তিজোটের আতাউর রহমান (ছড়ি)। কিন্তু এই আসনে হঠাৎ করে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। আলোচনায় উঠে এসেছেন  তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী।

নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা পূর্ব থেকেই এই আসনটি আলোচনায় ছিল  বিএনপির সাবেক  ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সদ্য নিবন্ধন পাওয়া নতুন রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরীকে কেন্দ্র করে। তফশিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে নির্বাচনী জোট হলে শমসের মুবিন চৌধুরীকে জোটের একক প্রার্থী করা হতে পারে বলে জোর আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটে যখন বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে আবারও মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ । মনোনয়ন পাওয়ার পরও তিনি তা প্রত্যাহার করেন কিনা সেবিষয়েও কম আলোচনা হয়নি। অবশেষে কিছুই হলো না। প্রতীক বরাদ্দের পর গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে বেশ জোরেশোরে প্রচার-প্রচারণা করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সেলিম উদ্দিন।

সকল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী সহ বাকি দুই প্রার্থী সাধারণ ভোটারদের আলোচনায় তেমন স্থান পাননি। কিন্তু হঠাৎ আচমকাই এক নির্দেশনায় বদলে যায় সম্পূর্ণ দৃশ্যপট। নতুন করে আলোচনায় শীর্ষে চলে আসছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী।

সেই ঘটনার সূত্রপাত, নাহিদকে হঠাৎ ঢাকায় তলব গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর থেকে। গত ২৮ শে ডিসেম্বর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন নাহিদ  কিন্তু হঠাৎ কেন্দ্রের তলবে  ঢাকায় যেতে হয় তাকে। হঠাৎ করে নাহিদের এমন ঢাকা সফর জনমনে নানা জল্পনার ডালপালা মেলে।  তিনি ঢাকায় যাওয়ার পর নতুন কোনো নির্দেশনা আসছে কিনা এমন উৎকণ্ঠায় ছিলেন নাহিদ বলয়ের নেতাকর্মীরা। ঢাকার কাজ শেষ করে সিলেটে এসে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় যোগ দিলেও তার নেতাকর্মীদের উৎকণ্ঠা এখনো কাটেনি। তবে নুরুল ইসলাম নাহিদের অনেক নেতাকর্মী এখনো মনে করেন সকল জল্পনাকল্পনা শেষে তিনি আবারও বিজয়ী হবেন।
শুরু থেকেই গুঞ্জন ছিল চৌধুরী বলয় গোপনে শমসের মুবিন চৌধুরীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে গত শুক্রবার রাতে পৌর শহরের একটি কনভেনশন হলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিমের উদ্যোগে যখন শমসের মুবিন চৌধুরীকে নিয়ে নির্বাচনী সভা করেন। এসময় তার সঙ্গে  গোলাপগঞ্জ উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। এসময় এলিম চৌধুরী দাবি করেন উপরের নির্দেশনা নিয়েই তিনি সোনালি আঁশকে সমর্থন করছেন। তবে কে এই নির্দেশনা দিয়েছেন তা খোলাসা করেন নি তিনি। সেই সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা শমসের মুবিন চৌধুরীর পক্ষে মাঠে  নেমেছি। এ ছাড়া তিনি (শমসের) আমার উপজেলার একজন কৃতী সন্তান। আমাদের সিলেট-৬ আসনে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই আমরা শমসেরের পক্ষ নিয়েছি।’
শমসের মবিন প্রথমদিকে নির্বাচনী আলোচনায় না থাকলেও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এলিম চৌধুরী তাকে সমর্থনের পরপরই দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।

এখন তৃণমূল বিএনপি’র শিবিরে নির্বাচনী প্রচারণায় গতি বেড়েছে অনেক গুণ। ভোটের মাঠে তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা, এমনকি সেন্টার ভিত্তিক কমিটি গঠন একদিনের ভিতরে সম্পন্ন হয়েছে। এসব কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল স্থানীয় আওয়ামী নেতারা তাদের উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন। লক্ষ করে দেখা যায় গতকাল থেকে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে শমসের মবিন চৌধুরীর মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি নির্বাচনের মাঠে ভোটারের নজর কাড়তে প্রার্থী নিজেও প্রতিদিন একাধিক স্থানে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মঞ্জুর শাফি চৌধুরীসহ সিলেট-৬ আসনের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দলের উচ্চপর্যায় থেকে শমসের মুবিন চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই আজ প্রকাশ্যে প্রচারণায় নেমেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও নিজেদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে শমসেরের পক্ষে মাঠে নামবেন।

তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমন ত্রিমুখী অবস্থান এবং আসনটিতে স্বয়ং তিনি প্রার্থী হওয়ায় যেকোনো নাটকীয়তা ঘটতে পারে বলে ভোটারসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করছেন।
উল্লেখ্য, এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ। আওয়ামী লীগের টিকিটে তিনি ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টানা দুই দফা শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।