মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভার পরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থন ও প্রচারণা আরও বেগমান হয়েছে। এর কারণ হিসেবে নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উদ্দেশ্যে কোনো মন্তব্য ও নেতাকর্মীদের কোনো প্রকার দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই তারা ধরে নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীও মাদারীপুর-৩ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চায়।
এদিকে দলীয় কোনো বিধি নিষেধ না থাকায় কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন ছাড়াও এবার জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সরাসরি স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে প্রচারে নেমেছেন। নির্বাচনের মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শক্ত অবস্থানের কারণে এ আসনে প্রচার বেশ জমজমাট।
এ সম্পর্কে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘নেত্রী তাঁর ভাষণে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। নেতাকর্মীদের এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনাও দেননি। তিনিও চান, এখানে লড়াই হোক। জনগণকে তিনি তার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ কারণে আরও নেতা–কর্মীরা তাহমিনা বেগমকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছেন।’
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। তাই নির্বাচনে নৌকার সঙ্গে ঈগল প্রতীকের লড়াই জমবে বলে প্রত্যাশা তাদের। যদিও, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় হত্যা মামলাসহ একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলাও করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁর কর্মীদের বাঁধা, ভয় দেখানোসহ ভোটারদের নৌকায় ভোট না দিলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একাধিক লিখিত অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তথ্য প্রমাণসহ দেওয়া হলেও নৌকার প্রার্থী বা তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে সাধারণ ক্ষমা ছাড়া শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বরাবরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর এসব অভিযোগ মিথ্যে ও বানোয়াট বলে দাবি করে আসছেন।


























