০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবৈধ যান নির্বাচনে ‘বৈধ’

Exif_JPEG_420

রাস্তায় ছুটছে নিবন্ধন ও ফিটনেসবিহীন ট্রাক্টর-পাগলু। ট্রাফিক পুলিশ সেসব গাড়ি থামিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সারিবদ্ধ করে প্রতিটি গাড়িতে
লাগানো হচ্ছে স্টিকার। এরপর চালক ও তাঁর সহকারীর হাতে দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা ও নির্বাচনী সরঞ্জাম। গাড়ি ছুটছে ভোটকেন্দ্রে। শনিবার সকাল থেকে বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রায় শতাধিক গাড়ি জড়ো করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সরঞ্জাম সরবরাহের কাজে ব্যবহার হয় এসব যান। অন্য সময় এসব যান অবৈধ হলেও নির্বাচনের সময় তা কাজে লাগানো হচ্ছে। উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রে মালামাল পৌঁছানোর কাজে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তাঁরা নির্বাচন কর্মকর্তাকে গাড়ি ‘রিকুইজিশন’ করে সহযোগিতা করছেন।
বীরগঞ্জ পৌরশহরে শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ফিটনেস ও নিবন্ধনবিহীন পাগলু-ট্রাক্টর মালামাল পরিবহন করে। জেলা নিরাপদ সড়ক চাই (নিশচা) শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েকজন গাড়িচালকের সঙ্গে আলাপের সময় তাঁরা বলেন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিদিন ট্রাক্টর মালিক-শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২০ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০০ টাকা জমা দিতে হয়। সংগঠন থেকে দেওয়া হয়েছে একটি টোকেন। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আটকালে টোকেন দেখালেই ছেড়ে দেয়। উপজেলা ট্রাক্টর মালিক-শ্রমিক কল্যাণ তহবিল সংগঠনের সাধারণ বলেন, ‘অন্য সময় আমরা অবৈধ, শুধু নির্বাচনের কাজে বৈধ। আমরা নিজেরাই একটা সিস্টেমে পড়ে গেছি।’ দিনাজপুর -১ আসনে রাত পোহালেই ভোট, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। এদিকে, ভোট গ্রহণে নির্বাচনী সকল সরঞ্জামাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১ দিন। সারা দেশের মতো এই আসনে ৫ জন প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা চলিছেন। একটি পৌরসভা ও (বীরগঞ্জ-কাহারোল) উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে লাগানো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে লিফলেট। অনলাইনেও চলছে ভোটের প্রচারও। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোট প্রার্থনা করেছেন। প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠ সরগরম রেখেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা। তারাও নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়েছেন। জমে উঠেছিলো ভোটের মাঠে প্রচারযুদ্ধ।
গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছিলেন তারা। ব্যাপক প্রচার প্রচারণা শেষে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্ধসঢ়;বান জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। দীর্ঘ প্রচার প্রচারণা শেষ হলো শুক্রবার। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত এই আসনে এবার আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। এখানে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে নীরব ভোটাররা। তারা পাল্টে দিতে পারেন ভোটের চিত্র।
এ আসনে নির্বাচনে মূল লড়াইয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা। ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তিবারের সভাপতি জাকারিয়া জাকা। আর নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনিও চারবারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। বীরগঞ্জ-কাহারোল উপজেলায় প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে আছেন তারা দুইজন। আওয়ামী লীগের কৌশলগত কারণে নৌকার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর লড়াই জমে উঠেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগসহ পাঁচজন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া
জাকার নির্বাচনী প্রচারণায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। এ আসনে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল হক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) জহুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও ট্রাকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা ভোটারদের টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী মাঠে প্রকাশ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রচারণায় বিভক্তিতে দোটানায় পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি কে হাসবেন তা দেখার অপেক্ষায় স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ ফজলে এলাহী জানান,দুটি উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ সকল ধরণের নির্বাচনী সামগ্রী কর্মকর্তারদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এই আসনে এবার মোট ভোটার হলো ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন। বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা লক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩ জন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১জন,প্রিজাইডিং অফিসার ৮০ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫৯৩ জন সহ মোট-১১৮৬ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে আনসার ব্যাটালিন ২ প্লাটুন, বিজিবি ২ প্লাটুন, র‍্যাবের টিম ১টি,পুলিশের মোবাইল টিম-১২টি, পুলিশের বিশেষ টিম ৩টি ও সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আগামী ৭ জানুয়ারি সকালে ১১৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ যান নির্বাচনে ‘বৈধ’

আপডেট সময় : ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

রাস্তায় ছুটছে নিবন্ধন ও ফিটনেসবিহীন ট্রাক্টর-পাগলু। ট্রাফিক পুলিশ সেসব গাড়ি থামিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সারিবদ্ধ করে প্রতিটি গাড়িতে
লাগানো হচ্ছে স্টিকার। এরপর চালক ও তাঁর সহকারীর হাতে দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা ও নির্বাচনী সরঞ্জাম। গাড়ি ছুটছে ভোটকেন্দ্রে। শনিবার সকাল থেকে বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রায় শতাধিক গাড়ি জড়ো করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সরঞ্জাম সরবরাহের কাজে ব্যবহার হয় এসব যান। অন্য সময় এসব যান অবৈধ হলেও নির্বাচনের সময় তা কাজে লাগানো হচ্ছে। উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রে মালামাল পৌঁছানোর কাজে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তাঁরা নির্বাচন কর্মকর্তাকে গাড়ি ‘রিকুইজিশন’ করে সহযোগিতা করছেন।
বীরগঞ্জ পৌরশহরে শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ফিটনেস ও নিবন্ধনবিহীন পাগলু-ট্রাক্টর মালামাল পরিবহন করে। জেলা নিরাপদ সড়ক চাই (নিশচা) শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েকজন গাড়িচালকের সঙ্গে আলাপের সময় তাঁরা বলেন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিদিন ট্রাক্টর মালিক-শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২০ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০০ টাকা জমা দিতে হয়। সংগঠন থেকে দেওয়া হয়েছে একটি টোকেন। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আটকালে টোকেন দেখালেই ছেড়ে দেয়। উপজেলা ট্রাক্টর মালিক-শ্রমিক কল্যাণ তহবিল সংগঠনের সাধারণ বলেন, ‘অন্য সময় আমরা অবৈধ, শুধু নির্বাচনের কাজে বৈধ। আমরা নিজেরাই একটা সিস্টেমে পড়ে গেছি।’ দিনাজপুর -১ আসনে রাত পোহালেই ভোট, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। এদিকে, ভোট গ্রহণে নির্বাচনী সকল সরঞ্জামাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১ দিন। সারা দেশের মতো এই আসনে ৫ জন প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা চলিছেন। একটি পৌরসভা ও (বীরগঞ্জ-কাহারোল) উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে লাগানো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে লিফলেট। অনলাইনেও চলছে ভোটের প্রচারও। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোট প্রার্থনা করেছেন। প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠ সরগরম রেখেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা। তারাও নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়েছেন। জমে উঠেছিলো ভোটের মাঠে প্রচারযুদ্ধ।
গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছিলেন তারা। ব্যাপক প্রচার প্রচারণা শেষে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্ধসঢ়;বান জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। দীর্ঘ প্রচার প্রচারণা শেষ হলো শুক্রবার। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত এই আসনে এবার আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। এখানে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে নীরব ভোটাররা। তারা পাল্টে দিতে পারেন ভোটের চিত্র।
এ আসনে নির্বাচনে মূল লড়াইয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা। ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তিবারের সভাপতি জাকারিয়া জাকা। আর নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনিও চারবারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। বীরগঞ্জ-কাহারোল উপজেলায় প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে আছেন তারা দুইজন। আওয়ামী লীগের কৌশলগত কারণে নৌকার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর লড়াই জমে উঠেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগসহ পাঁচজন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া
জাকার নির্বাচনী প্রচারণায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। এ আসনে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল হক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) জহুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও ট্রাকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা ভোটারদের টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী মাঠে প্রকাশ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রচারণায় বিভক্তিতে দোটানায় পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি কে হাসবেন তা দেখার অপেক্ষায় স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ ফজলে এলাহী জানান,দুটি উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ সকল ধরণের নির্বাচনী সামগ্রী কর্মকর্তারদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এই আসনে এবার মোট ভোটার হলো ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন। বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা লক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩ জন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১জন,প্রিজাইডিং অফিসার ৮০ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫৯৩ জন সহ মোট-১১৮৬ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে আনসার ব্যাটালিন ২ প্লাটুন, বিজিবি ২ প্লাটুন, র‍্যাবের টিম ১টি,পুলিশের মোবাইল টিম-১২টি, পুলিশের বিশেষ টিম ৩টি ও সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আগামী ৭ জানুয়ারি সকালে ১১৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে।