রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক নয় মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় করা ৯ টি মামলায় জামিন চেয়ে শুনানি করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিন বেলা একটায় শুরু হয় শুনানি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে বিকাল ৪.৪৫ মিনিটের দিকে নয়টি মামলাতেই জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার এসব মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এ সময় আদালত জামিন শুনানির পূর্বে এ নয়টি মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করতে বলেন। এরপর তার আইনজীবীরা মামলাগুলোয় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আংশিক জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং অধিকতর শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার আট মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় মির্জা ফখরুলকে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর গত ২২ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে এ মামলায় ফখরুলের জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। তবে এদিনও তার জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
এছাড়াও গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর জামিন নামঞ্জুর করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

























