কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার জনজীবন। সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলে না। এরই মধ্যে কোল্ড ইনজুরিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বোরো চারাগুলো ফ্যাকাশে হয়ে পড়ছে। ফলে বোরো ধান আবাদ করতে চারা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বোরোর বীজতলায় কোথাও হলুদ, কোথাও লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। অনেক জায়গায় গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো বীজতলার চারা একেবারেই মারা যাচ্ছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়া তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত বীজতলা সেরে উঠবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখন পর্যন্ত ৯১০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের রুপসীহাটা এলাকার কৃষক মুশফিকুর লোটাস সবুজ বাংলাকে বলেন, কয়েক দিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো চারার গোড়ায় পচন ধরে শুকিয়ে যাচ্ছে।
পুর্ব শ্যামপুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী সবুজ বাংলাকে বলেন, নিয়ম মেনে বীজতলায় সন্ধ্যায় বাড়তি পানি দিয়ে সকালে বের করে দিচ্ছেন। এতেও ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আর কয়েক দিন শীত ও কুয়াশার তীব্রতা অপরিবর্তিত থাকলে অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক কৃষক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সময়মতো পরিচর্যা যারা করেছেন তাদের বীজতলা অনেকাংশে ভালো রয়েছে। তাই বীজতলা তৈরি ও বীজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে চাষিদের আরও বেশি সক্রিয় থাকতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ফয়সাল সবুজ বাংলাকে বলেন,‘এখনও পর্যন্ত কোল্ড ইনজুরিতে বড় ক্ষতি হয়নি। যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে এটুকু হওয়া স্বাভাবিক। এতে শঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। এখনও পর্যন্ত কোল্ড ইনজুরিতে বড় ক্ষতি হয়নি কিছু বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বীজতলা রক্ষার্থে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের ছত্রাকনাশক স্প্রে বা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেয়াসহ কিছু ভিটামিন স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি বপন করা বীজতলা দিয়েই চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
























