আগুন পোহাতে গিয়ে দেহের ৭০ ভাগই অগ্নীদগ্ধ হওয়া পাচ মাসের অন্তঃসত্তা কল্পনা আক্তার বাঁচতে চায়। দিনমজুর দরিদ্র রুবেলের স্ত্রী কল্লাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে লালমনিরহাট ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা।অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে চিকিৎসকরা। তারা কল্পনা আক্তারকে চিকিৎসার নিতে বলেন ঢাকা বার্ন ইউনিটে। আর্থিক সংকটে থানা দিন মজুরী করে খাওয়া অভিভাবকদের তা সম্ভব নয় বলে ফির নিয়ে আসে গ্রামের বাড়ি ফুলগাছ গ্রামে। এখন চিকিৎহীনতায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা কল্পনার অবয়ব জুড়ে যেন বেচে থাকার আকুতি।
গত (১৪ জানুয়ারি) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদাল খাতা গ্রামে।
একেবার হিমালয়ের কাছা-কাছি অবস্থান হওয়ায় সীমান্ত জেলা লালমবিরহাটে শীতের প্রকোপ অনেকটাই বেশী। ১৪ জাুনয়ারী লালমনিরহাট জেলায় ছিল তামাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এঅবস্থায় অসহনীয় ঠান্ডায় শীত নিবারনে গ্রামীন জনপদের কয়েকজন মিলে খরকুঠায় আগুন জ্বালিয়ে তা পোহাতে থাকে। একপর্যায়ে তাপ সন্চয়ে অন্যদের মতই তা পোহাতে যোগদেয় পাচ মাসের অন্তঃসত্তা কল্পনা আক্তার। অসাবধানতা বশতঃ তার পরিধেয় বস্ত্রে আগুন লেগে যায়। একটু বিলম্বে দৃস্টিগোচরিভুত হওয়ায় তার বিস্তৃতি বেড়ে শরীরের বুক থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের ৭০ ভাগই পুড়ে যায়।
কলপ্না আক্তারের বয়োস এখন ১৯ বছর। লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে কল্পনা। কল্পনার বাবা পেশায় একজন শ্রমিক দিনমজুরি করে কোন জীবিকা নির্বাহ করে। এ অবস্থায় প্রায় ১৪ মাস আগে অনেক আশা নিয়ে পাশ্ববর্তি কোদাল খাতা গ্রামের দিন মজুর রুবেলের সাথে তার বিয়ে দেয়।বেশ শুখেই চলছিল তারের জীবন। বুকভরা আশা ছিল কল্পনার কিছুদিন পরেই তাকে মা বলে ভুমিষ্ঠ হওয়া সন্তান। তার স্বামী রুবেল সন্তানকে কোলে আদর করে চুমু দিবে কপালে কিন্তু না তা বোধ হয় আর হয়ে উঠছেনা অতিদারিদ্রতায় এই অগ্নিদগ্ধতায়। এমন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কল্পনার অবয়ব জুড়ে যেন বেচে থাকার আকুতি।অসহাত্বতায় শুধুই তাকিয়ে থাকে অপলক, অশ্র ঝরে কখনে কখনো দু’চোখ বেয়ে।
কল্পনার স্বামী দিনমজুর রুবেল জানায়, সাংবাদিক ছাড়া কেউ খবর নেয়নি তাদের। জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমনকি কোন জনপ্রনিধি। তিনি জানান লালমবিরহাট সদর আসন থেকে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এর লোকজন এসে দেখে গেছে অন্য কিছু বলেন নি তারা। এব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ সবুজ বাংলা পত্রিকাকে বলেন আমি ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে জানলাম। তারা চিকিৎসা সহায়তার জন্য আবেদন করলে আমি আমার দপ্তর থেকে আর্থিকভাবে সহায়তা করবো। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রেফার্ড করা হয়ছিল। অর্থাভাবে স্বজনরা অগ্নীদগ্ধ ৫ মাসের অন্তঃসত্তা কল্পনাকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে এসেছে।
তার চিকিৎসার জন্য ব্যয় প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক সবুজ বাংলা পত্রিকাকে বলেন আগে দরখাস্ত করুকে এরপর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
অগ্নিদগ্ধ কল্পনা আক্তারের দিন মজুর স্বামী রুবেল জানান, আমার স্ত্রী এখন শশুর বাড়ি সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামে শশুরালয়ে আছে।টাকার অভাবে চিকিৎসা জন্য ঢাকায় নিতে না পারায় এখন কবিরাজী চিকিৎসা করাচ্ছি। বাকিটা আল্লাহ তাআলার হাতে। এই কথা বলে সে চিৎকার করে কাদতে থাকে। লালমনিরহাটের মানুষ দারিদ্র পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনাকে বাচাতে তার পরিবাীের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী অথবা দানশীল বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।























