চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বোটসহ ১৩ জন মাঝি-মাল্লারা মায়ের কোলে ফিরে এসেছেন ১৭ দিন পর। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সারেঙ্গা এলাকা থেকে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারের ইঞ্জিন শ্যাফট ভেঙে ট্রলার বিকল হয়ে নিখোঁজ হওয়া ১৩ জব মাঝি-মল্লার ফিরে আসায় তাদেরকে কাছে পেয়ে স্বজন ও স্থানীয়দের মাঝে আনন্দ ফিরে এসেছে।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপকূল রায়পুর সরেঙ্গা ঘাটে এসে পৌঁছেন তাঁরা। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিমাল্লারা হলেন, কালু মাঝি (৫৫), আব্দুল মান্নান (৩০), মো. কালু (৩৬), রান্ড মিয়া (২৫), মোরশেদ (২২), আলী হোসেন (৩০), রায়হান (২১),জালাল (২৮), মহিউদ্দিন (৩৫), হান্নান বাবুর্চি (৩৫), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মোহাম্মদ রাসেল (৩০), মো. সালাম (৪০)কে নিয়ে এলাকায় ফিরে এসেছেন।
এক নজর দেখতে ভীড় করছে এলাকার জনসাধারণ। সবার চোখে খুশিতে পানি টলমল করছে। নিজের ছেলেদের কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মা বাবা এবং আত্মীয় প্রতিবেশীরা। এর আগে গত রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মিয়ানমার জলসীমার থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। পরে তাদেরকে বাংলাদেশ জলসীমার সেন্টমার্টিন এরিয়ায় এনে সেদিন ছেড়ে দেন৷ তবে নষ্ট হওয়া ট্রলারটি মেরামত করায় আজ নিজেদের বাড়িতে ফিরেন তারা।
গত ১ জানুয়ারি সোমবার রাত ৮টার দিকে আনোয়ারা উপকূল থেকে মাঝি-মল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায় এফবি মা জননী নামের একটি ফিশিং ট্রলার।যাওয়ার একদিন পরে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে নেটওয়ার্কের বাহিরে চলে যায় ট্রলারসহ ১৩ জন মাঝি-মল্লা।
নিখোঁজ হয়ে তাঁরা সাগরে ভাসতে ভাসতে তাদের সাথে থাকা খাবার ও পানিও ফূরিয়ে যায়। একপর্যায়ে সাগরে ভাসতে থাকার ৬ দিন পর মিয়ানমারের একটি মাছ ধরার ট্রলার তাদের তিন দিন টেনে আকিয়াব উপকূলের অদূরে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশের জলসীমায় নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করে।পরে তারা বোট নিয়ে নিরাপদে মায়ের কোলে ফিরে আসে।























