গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে হওয়া চার মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এসব মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এছাড়াও বুধবার আরও দুই মামলায় আমীর খসরুর জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে হওয়া মোট ১০ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
বাকি পল্টন থানার দুই ও রমনা থানার দুই মামলায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জামিন শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে এসব মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় এদিন এসব মামলার জামিন শুনানি করা সম্ভব হয়নি। তাই আদালত আগামী রোববার বাকি চার মামলার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এ চার মামলায় জামিন পেলে আমীর খসরুর মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তিনি বলেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ১০ টি মামলা ছিল। ছয়টি মামলায় আমরা জামিন করিয়েছি। রোববার বাকি চারটি মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এ মামলাগুলোয় তিনি জামিন পেলে মুক্তিতে আর বাধা নেই।
এদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ সবুজ বাংলাকে বলেন, রোববার যে চার মামলায় জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলা রয়েছে। এ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন পাননি। ফলে আশা করছি আমীর খসরুও জামিন পাবেন না। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করবো।
এর আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেফতার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আমির খসরুকে আদালতে হাজির না করায় শুনানি পিছিয়ে বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত আমীর খসরুর আট মামলায় জামিন শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেফতার ও জামিন চেয়ে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ধার্য করেন আদালত।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।


























