০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি শেষে কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে শীতের তীব্রতা

চুয়াডাঙ্গায় মাঘের শুরুতে বৃষ্টি শেষে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জালিয়ে চলছে যান চলাচল। কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড  করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছে ৬০০ মিটার।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সারাদিনই আকাশ মেঘলাসহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না রোদের উত্তাপ। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এক দিনের ব্যবধানে এ জেলায় তাপমাত্রা কমে এসেছে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে  ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা  ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার।আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরো কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এদিকে, তীব্র শীতে এ জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় সড়কে যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে ভোগান্তি। জেলার চার উপজেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শনিবার ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারে নেমে এসেছে। তিনি সতর্কতার সাথে চলাচল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আগামী দুই দিন রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। দিনের বেলা আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময়

চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি শেষে কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে শীতের তীব্রতা

আপডেট সময় : ০১:১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
চুয়াডাঙ্গায় মাঘের শুরুতে বৃষ্টি শেষে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জালিয়ে চলছে যান চলাচল। কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড  করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছে ৬০০ মিটার।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সারাদিনই আকাশ মেঘলাসহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না রোদের উত্তাপ। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এক দিনের ব্যবধানে এ জেলায় তাপমাত্রা কমে এসেছে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে  ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা  ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার।আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরো কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এদিকে, তীব্র শীতে এ জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় সড়কে যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে ভোগান্তি। জেলার চার উপজেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শনিবার ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারে নেমে এসেছে। তিনি সতর্কতার সাথে চলাচল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আগামী দুই দিন রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। দিনের বেলা আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।