০৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু মামলায় আসামি গ্রেপ্তার

সম্প্রতি বরগুনা জেলায় বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি মো. মিজানুর রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, সম্প্রতি বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় বরগুনায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি বরগুনার বামনার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে।

তিনি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন এলাকায় সন্তানসম্ভবা এক নারীর প্রসব বেদনা উঠলে তার বাবা ও তার স্বামী মিলে তাকে বিকেল ৩টার দিকে বামনা থানার ৪নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাস পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আল্ট্রাসনো করে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের বাবাকে ২০ হাজার টাকা দিলে তারা অভিজ্ঞ সার্জন দিয়ে তার মেয়েকে অপারেশনসহ সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রদান করবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন এলাকায় সন্তানসম্ভবা এক নারীর প্রসব বেদনা উঠলে তার বাবা ও তার স্বামী মিলে তাকে বিকেল ৩টার দিকে বামনা থানার ৪নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাস পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আল্ট্রাসনো করে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের বাবাকে ২০ হাজার টাকা দিলে তারা অভিজ্ঞ সার্জন দিয়ে তার মেয়েকে অপারেশনসহ সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রদান করবেন বলে জানান।

ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বরগুনা জেলার বামনা থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৬) দায়ের করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোচনার সৃষ্টি করে।

এএসপি শিহাব করিম বলেন, র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি দল মিজানুর রহমানকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে বরগুনা জেলার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনেই বক্তব্য রাখলেন তারেক রহমান

ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু মামলায় আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১২:২২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

সম্প্রতি বরগুনা জেলায় বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি মো. মিজানুর রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, সম্প্রতি বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় বরগুনায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি বরগুনার বামনার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে।

তিনি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন এলাকায় সন্তানসম্ভবা এক নারীর প্রসব বেদনা উঠলে তার বাবা ও তার স্বামী মিলে তাকে বিকেল ৩টার দিকে বামনা থানার ৪নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাস পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আল্ট্রাসনো করে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের বাবাকে ২০ হাজার টাকা দিলে তারা অভিজ্ঞ সার্জন দিয়ে তার মেয়েকে অপারেশনসহ সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রদান করবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন এলাকায় সন্তানসম্ভবা এক নারীর প্রসব বেদনা উঠলে তার বাবা ও তার স্বামী মিলে তাকে বিকেল ৩টার দিকে বামনা থানার ৪নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাস পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আল্ট্রাসনো করে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের বাবাকে ২০ হাজার টাকা দিলে তারা অভিজ্ঞ সার্জন দিয়ে তার মেয়েকে অপারেশনসহ সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রদান করবেন বলে জানান।

ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বরগুনা জেলার বামনা থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৬) দায়ের করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোচনার সৃষ্টি করে।

এএসপি শিহাব করিম বলেন, র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি দল মিজানুর রহমানকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে বরগুনা জেলার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।