০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও দুই মামলায় খসরুর জামিন

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে হওয়া আরও দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এসব মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়াও ১৮ জানুয়ারি নাশকতার আরও চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন একই আদালত।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি আরও দুই মামলায় আমীর খসরুর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে হওয়া মোট ১০ মামলার মধ্যে আট মামলায় জামিন পেলেন তিনি।

বাকি পল্টন থানার দুই ও রমনা থানার দুই মামলায় অধিকতর জামিন শুনানির জন্য আগামী বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ দুই মামলায় জামিন পেলে আমীর খসরুর মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তিনি বলেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ১০ টি মামলা ছিল। আটটি মামলায় আমরা জামিন করিয়েছি। বুধবার বাকি দুইটি মামলার অধিকতর জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এ মামলাগুলোয় তিনি জামিন পেলে মুক্তিতে আর বাধা নেই।

এদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, বুধবার আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করবো। আশাকরি তিনি জামিন পাবেন না।

গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত আমীর খসরুর আট মামলায় জামিন শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেফতার ও জামিন চেয়ে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ধার্য করেন আদালত।

জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

আরও দুই মামলায় খসরুর জামিন

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে হওয়া আরও দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এসব মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়াও ১৮ জানুয়ারি নাশকতার আরও চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন একই আদালত।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি আরও দুই মামলায় আমীর খসরুর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে হওয়া মোট ১০ মামলার মধ্যে আট মামলায় জামিন পেলেন তিনি।

বাকি পল্টন থানার দুই ও রমনা থানার দুই মামলায় অধিকতর জামিন শুনানির জন্য আগামী বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ দুই মামলায় জামিন পেলে আমীর খসরুর মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তিনি বলেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ১০ টি মামলা ছিল। আটটি মামলায় আমরা জামিন করিয়েছি। বুধবার বাকি দুইটি মামলার অধিকতর জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এ মামলাগুলোয় তিনি জামিন পেলে মুক্তিতে আর বাধা নেই।

এদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, বুধবার আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করবো। আশাকরি তিনি জামিন পাবেন না।

গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত আমীর খসরুর আট মামলায় জামিন শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেফতার ও জামিন চেয়ে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ধার্য করেন আদালত।

জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।