০৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও ফিলিং ষ্টেশনে কমছেনা গাড়ীর জট

গ্যাস সংকটে থমকে যাওয়া চট্টগ্রামের গণপরিবহনে এখনো ফিরে আসছে না শৃংখলা। চট্টগ্রামের প্রতিটি গ্যাস ফিলিং ষ্টেশনের সামনে গতকাল রবিবারও ছিল গ্যাসে চালিত গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পর থেকে চট্টগ্রামের সব ধরনের গণপরিবহন বাড়া বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ।

বাড়তি ভাড়া আদায় করে লোকজন তাদের গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। গত শনিবার দুপুর থেকে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সব ধরনের যানবাহন চালকরা নিজ নিজ গাড়ীতে গ্যাস নেয়ার জন্য ফিলিং ষ্টেশনের সামনে অপেক্ষা করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

গতকাল চট্টগ্রাম – কাপ্তাই সড়কের পাশে বিসমিল্লাহ আলমাছ ফিলিং ষ্টেশন থেকে দীর্ঘ সিএনজি টেক্সীর লাইনের মাঝামাঝি স্থানে দাঁড়ানো টেক্সী চালক রিয়াদ জানান,  শনিবার রাত ১১ টায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি প্রায় ১১ ঘণ্টা। সামনে যে পরিমাণ গাড়ী রয়েছে, তা শেষ করে গ্যাস নিতে আরো তিন ঘণ্টা সময় লগবে। লাইনে আসার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরেই গাড়ীতে গ্যাস নিয়ে চালকদের বের হতে হচ্ছে। টানা তিন দিন গ্যাস সংকটের কারণে হাজার হাজার সিএনজি টেক্সী গ্যাস নেয়ার জন্য ফিলিং ষ্টেশনে ভীড় করছে। সকল যানবাহনে গ্যাস নিতে আরো অন্ততঃ চার দিন সময় লগবে। অনেক গাড়ীর চালক ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে গাড়ী লাইন থেকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন গুলোর সামনে কার, মাইক্রো, মিনি ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন গ্যাস নির্ভর যানবাহনেরও রয়েছে দীর্ঘ লাইন।

আজ রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গণপরিবহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় সড়ককে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। পুরোদমে যানবাহন চলাচল না হওয়ায় গতকাল অফিস – আদালত, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষকে প্রতিটি স্টপিজে চরম ভোগান্তি নিয়ে গন্তব্যে পৌছাতে দেখা গেছে। তবে এখনও গ্যাস নির্ভর যানবাহনগুলোতে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
ভুক্তভোগী রিয়াদ জানান, বাসায় গ্যাসের অভাবে খাবার নেই, রাস্তায় নেই গাড়ী। এরচেয়ে বেশী ভোগান্তি আর কি থাকতে পারে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল সুবজ বাংলাকে বলেন, গ্যাস সংকটের জন্য সিএনজি অটোরিকশা, হিউম্যান হলার ও বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ ছিল। আজকে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। গ্যাসনির্ভর যানবাহনগুলোতে কিছুটা ভাড়া বেশি নিচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এই সংকট কমে যাবে। তবে আরো দুই এক দিন সময় লাগবে এতে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সবুজ বাংলাকে জানান, চট্টগ্রামে দৈনিক ২৭৫ থেকে ৩২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চাহিদা ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। গতকাল সন্ধ্যা থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করছি, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

গতকালও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার আবাসিকের চুলায় গ্যাস জ্বলেছে মিটি মিটি করে। লাইনে গ্যাস প্রেশার না থাকায় আবাসিক গ্রাহকদের সংকট পুরোপুরি কাটছেনা  এমন অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।

জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ বছর পর বাবা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানালেন তারেক রহমান

গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও ফিলিং ষ্টেশনে কমছেনা গাড়ীর জট

আপডেট সময় : ০৯:০২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

গ্যাস সংকটে থমকে যাওয়া চট্টগ্রামের গণপরিবহনে এখনো ফিরে আসছে না শৃংখলা। চট্টগ্রামের প্রতিটি গ্যাস ফিলিং ষ্টেশনের সামনে গতকাল রবিবারও ছিল গ্যাসে চালিত গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পর থেকে চট্টগ্রামের সব ধরনের গণপরিবহন বাড়া বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ।

বাড়তি ভাড়া আদায় করে লোকজন তাদের গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। গত শনিবার দুপুর থেকে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সব ধরনের যানবাহন চালকরা নিজ নিজ গাড়ীতে গ্যাস নেয়ার জন্য ফিলিং ষ্টেশনের সামনে অপেক্ষা করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

গতকাল চট্টগ্রাম – কাপ্তাই সড়কের পাশে বিসমিল্লাহ আলমাছ ফিলিং ষ্টেশন থেকে দীর্ঘ সিএনজি টেক্সীর লাইনের মাঝামাঝি স্থানে দাঁড়ানো টেক্সী চালক রিয়াদ জানান,  শনিবার রাত ১১ টায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি প্রায় ১১ ঘণ্টা। সামনে যে পরিমাণ গাড়ী রয়েছে, তা শেষ করে গ্যাস নিতে আরো তিন ঘণ্টা সময় লগবে। লাইনে আসার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরেই গাড়ীতে গ্যাস নিয়ে চালকদের বের হতে হচ্ছে। টানা তিন দিন গ্যাস সংকটের কারণে হাজার হাজার সিএনজি টেক্সী গ্যাস নেয়ার জন্য ফিলিং ষ্টেশনে ভীড় করছে। সকল যানবাহনে গ্যাস নিতে আরো অন্ততঃ চার দিন সময় লগবে। অনেক গাড়ীর চালক ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে গাড়ী লাইন থেকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন গুলোর সামনে কার, মাইক্রো, মিনি ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন গ্যাস নির্ভর যানবাহনেরও রয়েছে দীর্ঘ লাইন।

আজ রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গণপরিবহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় সড়ককে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। পুরোদমে যানবাহন চলাচল না হওয়ায় গতকাল অফিস – আদালত, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষকে প্রতিটি স্টপিজে চরম ভোগান্তি নিয়ে গন্তব্যে পৌছাতে দেখা গেছে। তবে এখনও গ্যাস নির্ভর যানবাহনগুলোতে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
ভুক্তভোগী রিয়াদ জানান, বাসায় গ্যাসের অভাবে খাবার নেই, রাস্তায় নেই গাড়ী। এরচেয়ে বেশী ভোগান্তি আর কি থাকতে পারে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল সুবজ বাংলাকে বলেন, গ্যাস সংকটের জন্য সিএনজি অটোরিকশা, হিউম্যান হলার ও বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ ছিল। আজকে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। গ্যাসনির্ভর যানবাহনগুলোতে কিছুটা ভাড়া বেশি নিচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এই সংকট কমে যাবে। তবে আরো দুই এক দিন সময় লাগবে এতে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সবুজ বাংলাকে জানান, চট্টগ্রামে দৈনিক ২৭৫ থেকে ৩২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চাহিদা ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। গতকাল সন্ধ্যা থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করছি, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

গতকালও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার আবাসিকের চুলায় গ্যাস জ্বলেছে মিটি মিটি করে। লাইনে গ্যাস প্রেশার না থাকায় আবাসিক গ্রাহকদের সংকট পুরোপুরি কাটছেনা  এমন অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।