চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কি এভাবেই চলবে?’ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াই টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে শুরু হয় প্রকাশিত সংবাদ প্রদর্শনী কর্মসূচি।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর প্রথম অবস্থান কর্মসূচী পালন করে শিক্ষক সমিতি। এরপর কয়েক দফায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করার পর গত ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সর্বশেষ আজ (২৩ জানুয়ারি) ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কি এভাবেই চলবে?’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ পত্র প্রদর্শনী করছে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
প্রদর্শনীতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুক হক বলেন, দেশের প্রথম সারির জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় যেসব নিউজ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো সংগ্রহ করে আজ প্রদর্শন করেছি। এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এতগুলো নিউজ বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য পত্র-পত্রিকায় এসেছে, যেগুলো সংগ্রহ করে প্রদর্শনী করানো অসম্ভব। এটা থেকেই বুঝা যায় কি পরিমাণ অন্যায্য কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত হওয়া প্রায় পাঁচশ নিউজ আমাদের কাছে আছে। সব প্রদর্শন করা সম্ভব নয়। আমরা সেখান থেকে বাছাই করে দুইশ নিউজ প্রদর্শন করবো।
প্রসঙ্গত, উপাচার্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩’ লঙ্ঘন করা এবং প্রয়োজন না থাকা সত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ ও দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক সমিতি।
স/মিফা
























