পৌষের শীতে গ্রামের পিঠা-পুলি ও বাহারি খাবারের আমেজ এসে গেছে রাজধানীর বুলবুল একাডেমিতে।
আজ শুক্রবার ( ২৬ জানুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) ওয়াইজঘাট, প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী আয়োজিত ২১তম পৌষমেলা ১৪৩০ এর উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মিজানুর রহমান, বাফা’র সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু, আদি ঢাকা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মানস বোস বাবুরাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ।
৩দিনব্যাপী পৌষমেলা- ১৪৩০ এর আয়োজনে প্রতিদিন সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, যাত্রাপালা, সঙযাত্রা, ব্রতচারী নৃত্য ও বাউল গানসহ পিঠা-পুলির নানা আয়োজনে মুখরিত থাকবে। পৌষমেলা- ১৪৩০ এর এই আয়োজন ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি প্রতিদিন সকল ৯টা থেকে রাত ৮.৩০টা পর্যন্ত চলবে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব আসদুজ্জামান নূর এমপি বলেন , পৌষ মেলা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। আমরা একটা সময় এসব ভুলতে বসেছিলাম । বিভিন্ন সময় আমাদের দেশের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটেছে এবং স্বাধীনতার পরে ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ইতিহাস বিকৃতির আরেকটি নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি আরেকটি সমস্যা আছে যা হলো ইতিহাস ভুলে যাওয়া। এই যে আমাদের পৌষ মেলা আমাদের পহেলা বৈশাখ আমাদের বর্ষা ও জনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন আমাদের উৎসবগুলো আমরা ভুলতে বসেছি কিংবা বিলীন হয়ে যাচ্ছে এগুলোকে ফিরিয়ে আনা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের সকলের অন্যতম একটি দায়িত্ব হলো ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে।
পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লেখক গবেষক গোলাম কুদ্দুস সবুজ বাংলাকে বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে বাঙ্গালী রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য। এই বাঙ্গালী জাতির রাষ্ট্রের নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পৌষ মেলা। এটি ধারণ করতে হবে। যার মাধ্যমে আমরা এই দেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
স/মিফা


























