চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইয়ুথ লিডার্স সমান্তরাললের একদল তরুন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে পালন করা হয়েছে কুয়াশা উৎসব তথা সম্প্রীতির উৎসব।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই কুয়াশা উৎসব তথা সম্প্রীতির উৎসব আয়োজন করা হয়।
এ উৎসবে আদিবাসী এবং বাঙালিদের সংস্কৃতির উপস্থাপনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভিন্ন দোকানের মেলা এবং শিল্প কর্ম প্রদর্শনী করা হয়েছে।
উৎসব আয়োজনে বুদ্ধিজীবী চত্বরে প্রায় ২০ টির মত ভ্রাম্যমাণ পিঠা আর শীতের পোশাকের দোকান ছিল।
ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের ২০২১-২২ সেশনের জান্নাতুল ফেরদৌস জবা বলেন,আমি যেহেতু রান্না পারি আমার শখ থেকে আজকে এই পিঠা উৎসবে আমার হাতে বানানো পিঠার দোকান দিয়েছি। আমি আমাদের ঐতিহ্য এবং কুয়াশা উৎসবকে উপভোগ করার জন্যই এই আয়োজন করেছি। আমি এমন আয়োজন নিজ থেকেই করেছি।
২০২০-২১ সেশনের ব্যাংকিং ইন্ড ইন্সুরেন্জ বিভাগের রুনজিলা ইসলাম মিতুল বলেন, আমাকে এই পিঠা বানানোর কাজে আমার খালা মনি সুমা সায়েম সহায়তা করেছেন। আমি প্রায় ৮-৯ প্রকার পিঠা বানিয়েছি। আমি নিজে এই কাজের উদ্ধোকতা। এমন একটা উৎসবে আমাদের হাতে বানানো শীতের পিঠা সবার মাঝে পৌছাতে পারছি যা আমার থেকে খুব ভালো লাগছে
শীত উৎসবে ঘুরতে এসে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ মুনতাজ আলী বলেন, আমি এমন একটা আয়োজনে আসতে পেরে খুব ভালো লাগো। বাড়িতে যাওয়ার আগে কখনও শীতের পিঠা খাওয়াহয় না। যাক এই শীত উৎসব আয়োজনে এসে শীতের পিঠা খেতে পারলাম।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর বেণু কুমার দে বলেন, একটি শিশুর জন্মের পর প্রথম দরকার হয় অন্ন, বাসস্থান, তার পর চিত্তবিনোদন।
তোমার এই আয়োজনে চিত্তবিনোদন দেখতে পাচ্ছি। তোমরা নিজ নিজ সৃজনশীলতা দেখাচ্ছো। আমি এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেখে খুবি আনন্দিত। আমরা আমাদের সংস্কৃতি গুলো ধারন করব। আমাদের প্রতিটি জাতির আলাদা সংস্কৃতি আছে। আমরা আমাদের সংস্কৃতি গুলোকে আকঁড়ে ধরবো যাতে এটা বিলুপ্ত হতে না পারে। এই আয়োজনটা আমাদের লেখাপড়ারই একটা অংশ। আমি তোমাদের এমন কাজে সব সময় একাত্বতা পোষণ করছি এবং সহায়তা করার জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা রেখেছি।
শীত উৎসব আয়োজনে দুপুর ১২:০০ টা থেকে আলোচবা সভা অনুষ্ঠিত শুরু হয়ে দুপুর ২ পর্যন্ত চলে। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

























