০৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছুটির দিনে সরগরম বইমেলা

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলার দ্বিতীয় দিনে বইপ্রেমীদের সরব ছিল বইমেলায়। এদিন বিকাল থেকেই মেলায় ভিড় করতে আসে আর সন্ধ্যা গড়াতে লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের মিলনমেলা হয়ে ওঠে লোকেলোকারণ্য। এদিন বিকাল থেকে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। স্টল থেকে স্টল ঘুরে বই দেখছেন, কিনছেন বইপ্রেমীরা। কেউবা প্রিয় লেখককে পয়ে নিচ্ছেন অটোগ্রাফ, তুলছেন সেলফি।
প্রকাশনা সংস্থাগুলো জানায়, প্রথমদিনের তুলনায় বিকিকিনি ছিল আশানুরূপ। সামনে আরও ক্রেতা পাবেন বলে আশা করছেন তারা।
জলধি পাবলিশার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি আফিয়া বলেন, বিকাল থেকে অনেক ক্রেতা উপস্থিতি ভালো। কেউ বই কিনছেন, কেউ দেখছেন। সবমিলিয়ে বিক্রি ভালো হচ্ছে। পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের বিক্রয়কর্মী অনামিকা বলেন, গতকালের তুলনায় অনেক উপস্থিতি আজ। বই কিনছেন সবাই কমবেশি। পুরো বইমেলা এলাকা ঘুরে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও দেখা গেছে। আর্চওয়ের মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ এবং মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শিশু প্রহরের উদ্বোধন : অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল শিশুদের জন্য। আয়োজক বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সকালে বইমেলার শিশু চত্বরে আয়োজন করা হয় শিশুপ্রহর। এসময় বিশেষ আয়োজনে জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টেলিভিশন ধারাবাহিক সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সঙ্গে নাচে-গানে মেতে ওঠে শিশুরা।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরে শিশুপ্রহর উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইডের বাংলাদেশের পরিচালক (শিক্ষা) সোনিয়া রেনল্ডস কুপার, বইমেলার সদস্য সচিব কেএম মুজাহিদুল ইসলাম ও অন্যরা।
উদ্বোধনকালে কবি নূরুল হুদা শিশুদের উদ্দেশে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে বইপড়ার বাংলাদেশে পরিণত করতে চাই। আমরা বই পড়ে বাংলাদেশকে বইপড়ার দেশে পরিণত করতে পারব, সারা বিশ্বকে বইপড়ার বিশ্বে পরিণত করতে পারব। সারা পৃথিবীকে একটি দেশে পরিণত করতে হলে বই পড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি শিশুকে জন্মের পর থেকে শব্দের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে। সিসিমপুর কোনো একটি ভাষার শব্দ নয়, সব ভাষার শব্দ, সিসিমপুর সারা বিশ্বের শব্দের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে আসছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ছুটির দিনে সরগরম বইমেলা

আপডেট সময় : ১২:৫১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলার দ্বিতীয় দিনে বইপ্রেমীদের সরব ছিল বইমেলায়। এদিন বিকাল থেকেই মেলায় ভিড় করতে আসে আর সন্ধ্যা গড়াতে লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের মিলনমেলা হয়ে ওঠে লোকেলোকারণ্য। এদিন বিকাল থেকে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। স্টল থেকে স্টল ঘুরে বই দেখছেন, কিনছেন বইপ্রেমীরা। কেউবা প্রিয় লেখককে পয়ে নিচ্ছেন অটোগ্রাফ, তুলছেন সেলফি।
প্রকাশনা সংস্থাগুলো জানায়, প্রথমদিনের তুলনায় বিকিকিনি ছিল আশানুরূপ। সামনে আরও ক্রেতা পাবেন বলে আশা করছেন তারা।
জলধি পাবলিশার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি আফিয়া বলেন, বিকাল থেকে অনেক ক্রেতা উপস্থিতি ভালো। কেউ বই কিনছেন, কেউ দেখছেন। সবমিলিয়ে বিক্রি ভালো হচ্ছে। পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের বিক্রয়কর্মী অনামিকা বলেন, গতকালের তুলনায় অনেক উপস্থিতি আজ। বই কিনছেন সবাই কমবেশি। পুরো বইমেলা এলাকা ঘুরে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও দেখা গেছে। আর্চওয়ের মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ এবং মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শিশু প্রহরের উদ্বোধন : অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল শিশুদের জন্য। আয়োজক বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সকালে বইমেলার শিশু চত্বরে আয়োজন করা হয় শিশুপ্রহর। এসময় বিশেষ আয়োজনে জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টেলিভিশন ধারাবাহিক সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সঙ্গে নাচে-গানে মেতে ওঠে শিশুরা।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরে শিশুপ্রহর উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইডের বাংলাদেশের পরিচালক (শিক্ষা) সোনিয়া রেনল্ডস কুপার, বইমেলার সদস্য সচিব কেএম মুজাহিদুল ইসলাম ও অন্যরা।
উদ্বোধনকালে কবি নূরুল হুদা শিশুদের উদ্দেশে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে বইপড়ার বাংলাদেশে পরিণত করতে চাই। আমরা বই পড়ে বাংলাদেশকে বইপড়ার দেশে পরিণত করতে পারব, সারা বিশ্বকে বইপড়ার বিশ্বে পরিণত করতে পারব। সারা পৃথিবীকে একটি দেশে পরিণত করতে হলে বই পড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি শিশুকে জন্মের পর থেকে শব্দের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে। সিসিমপুর কোনো একটি ভাষার শব্দ নয়, সব ভাষার শব্দ, সিসিমপুর সারা বিশ্বের শব্দের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে আসছে।