💢 নিয়ম না মেনে মগবাজার ফ্লাইওভারের কাজ প্রদান
💢 কাজ শেষের ৮ মাস পর টেন্ডার
রঙ-বেরঙের গ্রাফিতিতে বদলে গেছে রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভারের দৃশ্য। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে ফ্লাইওভারের পিলারগুলোতে এখন পোস্টারের বদলে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন রিকশাশিল্প। ডিএনসিসির এমন উদ্যোগ সাধুবাদ পেয়েছে সর্ব মহলের। তবে এই সৌন্দর্যের নিচেই ঢাকা পড়েছে অনিয়ম, যেন রঙের নিচে অন্ধকার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হওয়ার কারণ, কাজ শেষ করার ৮ মাস পরে একই কাজের জন্য টেন্ডার ঘোষণা।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১০ এপ্রিল মগবাজার ফ্লাইওভারে শিল্পকর্মের এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এই কাজে আর্থিকভাবে সহায়তা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ। আর সম্পূর্ণ কাজটি সম্পাদন করে আলিফ ট্রেডারস নামের একটি কোম্পানি। তবে হঠাৎ করেই একই বছর ডিসেম্বরের ১২ তারিখে একই কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দরপত্র নম্বর ৯২০৫৮১। বিজ্ঞপ্তিতে কাজের ধরন বলা হয়েছে, ডিএনসিসি ওয়ার্ড-৩৫ এর আওতাধীন মগবাজার ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট। টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল একই বছর ২৮ ডিসেম্বর।
ডিএনসিসি সূত্র বলছে, টেন্ডারে আলিফ ট্রেডার্স ছাড়া আরো কোনো প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়নি। মগবাজার মোড় থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত ফ্লাইওভারের ১২টি পিলারে গ্রাফিতি আঁকার জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫৪ লাখ টাকার দরপত্র জমা দেয়। একমাত্র দরদাতা হিসেবে কাজও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে জানা যায়, নয়াপল্টনে ভিআইপি রোডের নর্থ উইং রিজ আহমেদ স্কয়ারে ১১ তলায় প্রতিষ্ঠানটির অফিস রয়েছে। টেন্ডারের নথি অনুযায়ী, চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির সাঙ্গে সিটি করপোরেশন চুক্তি স্বাক্ষর করে। কাজের সময় দেখানো হয় ১৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তবে কাজ শেষ করার পর টেন্ডার ঘোষণা করা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও ২০০৮ এর লঙ্ঘন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আলিফ ট্রের্ডাস মূলত সিটি করপোরেশনের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার মাধ্যমে কাজটি পেয়েছে। ফলে আইন উপেক্ষা করে তাড়াহুড়ো করে প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ দেওয়া হয়। তবে টাকা তোলার সময় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট না মানায় প্রতিষ্ঠানটি টাকা তুলতে পারছিল না। তাই নতুন করে টেন্ডার দেওয়া।
এ বিষয়ে কথা বলতে টেন্ডার আহ্বানকারী ডিএনসিসি জোন-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, গত বছর এপ্রিলে মগবাজার ফ্লাইওভারের রঙের কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে কাজ শেষ হওয়ার পর টেন্ডার আহ্বানের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি, বিষয়টি অবগত না। খোঁজ নিয়ে দেখব আসলে কি হয়েছে।
স/ম






















