০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপনাদের নিয়ে খেলবে- নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, হকারদের বলতে চাই আপনাদের কেউ কেউ উস্কানি দিবে। উচ্ছিষ্ট বামেরা আপনাদের সমস্যার সমাধান করবে না। ওরা আপনাদের নিয়ে খেলবে। আমি গরীবের পক্ষে আছি। এটাতো প্রতিদিন চলতে পারে না। আমি দেখেছি হকারেরা বিনা পয়সায় বসে না। মীর জুমলা রোডে ছোট চৌকি তিনবার ভাড়া হয়, ২৪শ টাকা। আর বড় চৌকি ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা ভাড়া। এ টাকা কে পায়। আমরা বা সিটি করপোরেশন পায় না। এ টাকা পায় চাঁদাবাজ। কিছু চাঁদাবাজের জন্য আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে কেন অশান্তিতে রাখবো।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের রাইফেল ক্লাবে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজটা এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ওখানে জমির ব্যাবসা হয়। সেকারণেই এটাকে অনেক দূরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেখানে গেলে এটা কাজে আসত না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে অভিযোগ করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এটা সদরেই হবে।

তিনি আরো বলেন, বড় কাজগুলো আমরা বেশিরভাগ করে ফেলেছি। আরও অনেক কাজ হচ্ছে। আমরা কেন এ কাজ করছি। মানুষের সেবা করতে এসেছি আমরা। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাদল ভাইয়ের এখানে থাকার কথা ছিল। তিনি নির্বাচনের পরের দিন থেকেই অসুস্থ।গতকাল বাসায় এসেছেন। এ অবস্থায় আমি তাকে অনুরোধ করেছি বের হবেন না। তিনি মৃত্যুকে হাতে নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। এটাই আমাদের দল। কয়েকদিন আগে প্রেসক্লাব একটা উদ্যোগ নিয়েছিল, ভাল উদ্যোগ। তারা নারায়ণগঞ্জের কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছিল। একটা হলো হকার সমস্যা আরেকটা হলো যানজট, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চলাচল। আমি আমার ছোট বোন আইভী, বড় ভাই সেলিম ওসমানও প্রেসক্লাবের দাওয়াতে গিয়েছি। আইভী সহযোগিতা চেয়েছে, আমার দায়িত্ব এই সহযোগিতা করা।

শামীম ওসমান বলেন, প্রতিটি জায়গায় হকারদের টাকা দিতে হয়। টাকা দিতে না হলে আমি ওদের পক্ষে থাকতাম। যেহেতু টাকা দেয় আমি আলোচনা করে চেষ্টা করেছি। সবাইকে রাখা তো সম্ভব না। আমি দেশি-বিদেশি বলবো না। আমি দেখবো কার দরকার আর কার দরকার নেই। এ ব্যাপারে আমার ছোট বোনও আমার সাথে একমত। তবে রাতারাতি এটা পারবো না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

 

 

স/মিফা

জনপ্রিয় সংবাদ

আপনাদের নিয়ে খেলবে- নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, হকারদের বলতে চাই আপনাদের কেউ কেউ উস্কানি দিবে। উচ্ছিষ্ট বামেরা আপনাদের সমস্যার সমাধান করবে না। ওরা আপনাদের নিয়ে খেলবে। আমি গরীবের পক্ষে আছি। এটাতো প্রতিদিন চলতে পারে না। আমি দেখেছি হকারেরা বিনা পয়সায় বসে না। মীর জুমলা রোডে ছোট চৌকি তিনবার ভাড়া হয়, ২৪শ টাকা। আর বড় চৌকি ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা ভাড়া। এ টাকা কে পায়। আমরা বা সিটি করপোরেশন পায় না। এ টাকা পায় চাঁদাবাজ। কিছু চাঁদাবাজের জন্য আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে কেন অশান্তিতে রাখবো।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের রাইফেল ক্লাবে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজটা এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ওখানে জমির ব্যাবসা হয়। সেকারণেই এটাকে অনেক দূরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেখানে গেলে এটা কাজে আসত না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে অভিযোগ করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এটা সদরেই হবে।

তিনি আরো বলেন, বড় কাজগুলো আমরা বেশিরভাগ করে ফেলেছি। আরও অনেক কাজ হচ্ছে। আমরা কেন এ কাজ করছি। মানুষের সেবা করতে এসেছি আমরা। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাদল ভাইয়ের এখানে থাকার কথা ছিল। তিনি নির্বাচনের পরের দিন থেকেই অসুস্থ।গতকাল বাসায় এসেছেন। এ অবস্থায় আমি তাকে অনুরোধ করেছি বের হবেন না। তিনি মৃত্যুকে হাতে নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। এটাই আমাদের দল। কয়েকদিন আগে প্রেসক্লাব একটা উদ্যোগ নিয়েছিল, ভাল উদ্যোগ। তারা নারায়ণগঞ্জের কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছিল। একটা হলো হকার সমস্যা আরেকটা হলো যানজট, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চলাচল। আমি আমার ছোট বোন আইভী, বড় ভাই সেলিম ওসমানও প্রেসক্লাবের দাওয়াতে গিয়েছি। আইভী সহযোগিতা চেয়েছে, আমার দায়িত্ব এই সহযোগিতা করা।

শামীম ওসমান বলেন, প্রতিটি জায়গায় হকারদের টাকা দিতে হয়। টাকা দিতে না হলে আমি ওদের পক্ষে থাকতাম। যেহেতু টাকা দেয় আমি আলোচনা করে চেষ্টা করেছি। সবাইকে রাখা তো সম্ভব না। আমি দেশি-বিদেশি বলবো না। আমি দেখবো কার দরকার আর কার দরকার নেই। এ ব্যাপারে আমার ছোট বোনও আমার সাথে একমত। তবে রাতারাতি এটা পারবো না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

 

 

স/মিফা