পবিত্র শবে বরাত হলো ফারসি শব্দ। এখানে দুইটি শব্দ প্রথমটি শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত এর অর্থ মুক্তির রাত। আরবিতে শবে বরাতকে বলা হয় ‘লাইলাতুল বারকাত’। হাদিসের ভাষায় ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী। সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কাছে শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে অধিক পরিচিত।
ইসলামে ইবাদতের জন্য যেসব দিবস ও রজনী গুরুত্বপূর্ণ এরমধ্যে বিশেষ রাত হলো পাঁচটি। এই বিশেষ রাতের একটি হলো শবে বরাত। যার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক।
আলেমগণ বলেন, বরকতময় রজনী বলে শাবান মাসে পূর্ণিমা রাতকে বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি, রুহুল মাআনি ও রুহুল বায়ান)। হজরত ইকরিমা (রা.) প্রমুখ কয়েকজন তাফসিরবিদ থেকে বর্ণিত আছে, সুরা দুখানের দ্বিতীয় আয়াতে বরকতের রাত্রি বলে শবে বরাত বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)।
শবে বরাতের আমল
নফল ইবাদত: কোরআন তিলাওয়াত, নামাজ আদায়, তওবা, ইস্তিগফার ও ক্ষমাপ্রার্থনা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে রাত পার করা। শবে বরাতের সব আমলই নফল। আর নফল আমল একাকী আদায় করাই উত্তম।
রোজা আদায় করা: হযরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত তোমাদের সম্মুখে আসে, তখন তোমরা তাতে কিয়াম তথা নামাজ আদায় করো এবং পরবর্তী দিনটিতে রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮)
মৃতদের জন্য মাগফিরাত করা: আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি এক রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কাছে না পেয়ে খোঁজ করতে বের হলাম। হঠাৎ দেখলাম, তিনি বাকি কবরস্থানে আছেন। তিনি বললেন, ‘(হে আয়েশা) তোমার কি এ আশঙ্কা হয় যে আল্লাহ ও তার রাসুল তোমার ওপর জুলুম করতে পারেন?’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার ধারণা হলো, আপনি অন্য কোনো স্ত্রীর কাছে গিয়েছেন।’ তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে দুনিয়ার আকাশে আসেন এবং কালব গোত্রের ছাগল-ভেড়ার পশমের চেয়েও অধিকসংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি: ৭৩৯; ইবনে মাজাহ: ১৩৮৯)
স/মিফা

























