•পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে
•প্রথম আট মাসে রপ্তানি আয় বেড়ে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে
•৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের হ্যাটট্রিকের রেকর্ড অর্জন
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পর টানা তিন মাস রপ্তানি আয়ে ৫০০ কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি মাসে পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের তুলনায় ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি আয়ে এই ঊর্ধ্বমুখী গতির খবর শুধু উদযাপনের কারণ নয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্যে এসব জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে পোশাক রপ্তানি প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়ে ৪৫০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের ৩৯৫ কোটি ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বেশি। নিটওয়্যার রপ্তানি প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, গত বছরের একই মাসে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সার্বিক রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশের বেশি, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। তবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং নিটওয়্যার বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত অর্থবছরের নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত একই সময়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের হ্যাটট্রিকের রেকর্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি ৫৭২ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা এখন পর্যন্ত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরে দেশটি ৫৩১ কোটি ডলার আয় করেছে। গত অর্থবছরের নভেম্বর মাসে দেশের রপ্তানি আয় ছিল ৫০৯ কোটি ডলার, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে আয় হয়েছে যথাক্রমে ৫৩৭ কোটি ডলার ও ৫১৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পোশাক খাতে শিপমেন্ট প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর এই শিল্পে গ্যাসের দাম, মজুরি বৃদ্ধি এবং পোশাকের চাহিদায় বিশ্বব্যাপী মন্দার মতো কিছু চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠেছে। আগামী দিনগুলো আরো ভালো হবে বলেও জানান তিনি।
























