০৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি’ চেয়ে সমাবেশ পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়ে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। মানববন্ধন থেকে নগরীর ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলোর অনুমতি ও ছাড়পত্র পরীক্ষা করে দেখার দাবি জানানো হয়। গতকাল রাজধানীর ওয়ারীর আড়ং ভবনের সামনে এই প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফটো সাংবাদিক সংস্কৃতিজন রতন কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সিপিবি নেতা বিকাশ সাহার সঞ্চালনায় প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাহিদ হোসেন খান, সাইফুল ইসলাম সমীর, গোলাম রাব্বি খান, হামিদুর রহমান ইকবাল, পরেশ মজুমদার, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রিজম ফকির এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।

বক্তারা বলেন, সারা ঢাকা শহরজুড়ে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের মতো ঝুঁকিপূর্ণ প্রচুর ভবন রয়েছে। এই ভবনগুলো নজরদারিতে আনা, সংশ্লিষ্ট ভবনগুলোর সকল অনুমতি বা ছাড়পত্র পরীক্ষা ও জনসাধারণের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা বিধান করার দায়িত্ব সরকারের। দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এত বড় বিপর্যয় সংঘটিত হয়েছে। এটি একটি কাঠামোগত ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ভবনটির মালিক পক্ষ কারা এখন অবধি সেটা প্রকাশ করার এবং তাদের আইনের আওতায় আনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। কোন একটি ঘটনা ঘটার পরে সবাই মিলে কয়েক দিনের জন্য সোচ্চার হওয়া ও কিছু তৎপরতা চলে। নিমতলী, সেজান জুস ও তাজরীন গার্মেন্ট কারখানা, চুরিহাট্টাসহ কোনো ঘটনারই বিচার অদ্যাবধি হয়নি। ফলে এই ধরনের মৃত্যুকূপের পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। সারা বছর কাজ না করে সরকারি সংস্থাগুলো এখন অতি তৎপরতা শুরু করেছে। তারা পাঁচ বছরের নিষ্ক্রিয়তা এক সপ্তাহে ঢাককে চাচ্ছে। যার ফলে ছোটখাট ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

অবিলম্বে সকল ভবন তদারকি করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এখনই দেখতে হব এসব ভবন সকল নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়েছে কিনা। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যারা ঘুষ খেয়ে দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা আর একটিও নিমতলী, সিদ্দীকবাজার, চুরিহাট্টা কিংবা বেইলি রোডের ঘটনা দেখতে চাই না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দিতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বচ্ছ নির্বাচন ছাড়া দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র আসবে না: সম্মিলিত নারী প্রয়াস

‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি’ চেয়ে সমাবেশ পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের

আপডেট সময় : ০৬:৩১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়ে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। মানববন্ধন থেকে নগরীর ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলোর অনুমতি ও ছাড়পত্র পরীক্ষা করে দেখার দাবি জানানো হয়। গতকাল রাজধানীর ওয়ারীর আড়ং ভবনের সামনে এই প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফটো সাংবাদিক সংস্কৃতিজন রতন কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সিপিবি নেতা বিকাশ সাহার সঞ্চালনায় প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাহিদ হোসেন খান, সাইফুল ইসলাম সমীর, গোলাম রাব্বি খান, হামিদুর রহমান ইকবাল, পরেশ মজুমদার, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রিজম ফকির এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।

বক্তারা বলেন, সারা ঢাকা শহরজুড়ে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের মতো ঝুঁকিপূর্ণ প্রচুর ভবন রয়েছে। এই ভবনগুলো নজরদারিতে আনা, সংশ্লিষ্ট ভবনগুলোর সকল অনুমতি বা ছাড়পত্র পরীক্ষা ও জনসাধারণের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা বিধান করার দায়িত্ব সরকারের। দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এত বড় বিপর্যয় সংঘটিত হয়েছে। এটি একটি কাঠামোগত ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ভবনটির মালিক পক্ষ কারা এখন অবধি সেটা প্রকাশ করার এবং তাদের আইনের আওতায় আনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। কোন একটি ঘটনা ঘটার পরে সবাই মিলে কয়েক দিনের জন্য সোচ্চার হওয়া ও কিছু তৎপরতা চলে। নিমতলী, সেজান জুস ও তাজরীন গার্মেন্ট কারখানা, চুরিহাট্টাসহ কোনো ঘটনারই বিচার অদ্যাবধি হয়নি। ফলে এই ধরনের মৃত্যুকূপের পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। সারা বছর কাজ না করে সরকারি সংস্থাগুলো এখন অতি তৎপরতা শুরু করেছে। তারা পাঁচ বছরের নিষ্ক্রিয়তা এক সপ্তাহে ঢাককে চাচ্ছে। যার ফলে ছোটখাট ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

অবিলম্বে সকল ভবন তদারকি করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এখনই দেখতে হব এসব ভবন সকল নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়েছে কিনা। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যারা ঘুষ খেয়ে দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা আর একটিও নিমতলী, সিদ্দীকবাজার, চুরিহাট্টা কিংবা বেইলি রোডের ঘটনা দেখতে চাই না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দিতে হবে।