ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তালা অবরোধ শুরু করেছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ।
রবিবার (১০ মার্চ) সিন্ডিকেট সভাশেষে আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা না বলে পেছনের দরজা দিয়ে চলে গেলে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সংগঠক অধ্যাপক পারভীন জলী এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
সোমবার(১১ মার্চ) সকালে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ মুখের সবগুলো দরজায় তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এসময় প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাইরে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
আন্দোলনে যুক্ত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল বলেন, “ আমাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিতে। আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো উপস্থাপন করেছি। আমরা আশা করেছিলাম গতকালের সিন্ডিকেট সভায় আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু রোববার সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য আমাদের কিছু না জানিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে চলে যান। পরে বাধ্য হয়ে আমরা দাবি আদায়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছি।
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, প্রশাসন বারবার ব্যর্থ হয়েছে তাদের কথা রাখতে।এখন পর্যন্ত তারা অছাত্রদের হল থেকে বের করতে পারেনি।তারা বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের আই ওয়াশ করছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, তার পরিচিত মামুনুর রশীদ মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে।
পরে ভুক্তভোগীর স্বামী ছয়জনকে আসামি করে ঘটনার রাতেই আশুলিয়া থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইনে মামলা করেন।
তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।


























