সিরাজগঞ্জের ফুলজোর নদী খননে অনিয়ম এবং বাংলা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ঠিকাদার, ড্রেজার মালিক ও বালু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তারেক মোর্শেদ বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ড্রেজার মালিক পরিমলকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন- ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আয়ান কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী (৩০), কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ড্রেজার মালিক পরিমল (৫৫), নলকা গ্রামের বাসিন্দা ড্রেজার মালিক বাবু (৫২)। রায়গঞ্জ উপজেলার বালু বিক্রেতা ঝন্টু সরকার (৫০)কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের মো.), আসাদুল সরকার (৩৩) ও রাকিব খান (৩২)। পরিমলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মামলার সূত্রে জানা যায়, মুগবেলাই গ্রামের আসলাম সরকারের জমির খাস খতিয়ানের আরএস ২০৪, ঘটিবেলাই মৌজার আরএস ১ নং নদীর জমি থেকে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে। ভদ্রঘাট ইউনিয়নের। এর আগে একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন সরকারের জমি একইভাবে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসলাম সরকার ও গিয়াস উদ্দিন সরকারের জমি ভরাটের জন্য খননকৃত বালু ব্যবহার করায় সরকারের সাত থেকে আট লাখ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রেজাউল ইসলাম জানান, নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে বিক্রির অভিযোগে সোমবার রাতে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তারেক মোর্শেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার দুই নম্বর আসামি ড্রেজার মালিক পরিমলকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
























